করোনাভাইরাসের বিস্তারের মধ্যে গত ১৮ জানুয়ারির পর এসব চীনা কর্মী ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগ দিয়েছিলেন।
বুধবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরের কাছে জানতে হয়েছিল চীনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পরার পর পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ ব্যাহত হবে কিনা।
জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, “পদ্মা সেতুতে এক হাজারের মত চীনা শ্রমিক বা কর্মী কাজ করে। এদের মধ্যে দেড়শ জন শিফটিং ছুটিতে থাকে। এতে আমাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বা পদ্মা সেতু নির্মাণকাজে অসুবিধার সৃষ্টি হয় না।”
চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে। আর প্রকল্পের নদী শাসনের কাজ করছে চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন।
বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়ানো নভেল করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩২ জনে দাঁড়িয়েছে, চীনের মূল ভূখণ্ডে আক্রান্তের সংখ্যা এক দিনেই বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি।
চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার নতুন করে আরও প্রায় দেড় হাজার মানুষের দেহে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
কেবল চীনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে, যা সার্স ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার চেয়েও বেশি।
আর চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে আরও ১৭ জায়গায় অন্তত ৭০ জনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৫ জনে। তবে চীনের বাইরে এ ভাইরাসে কারও মৃত্যুর তথ্য এখন পর্যন্ত আসেনি।