মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা এ বিষয়ে নির্বাচনী এলাকার পুলিশের সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও নির্বাহী হাকিমকে চিঠি দিয়েছেন।
আগের দিন বিএনপির পক্ষ থেকে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ তুলে ধরা হয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। পরে সিইসি বলেন, রাস্তা ও ফুটপাতের উপর যদি কোনো ক্যাম্প থাকে, তাহলে তা উঠিয়ে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার উত্তরের রিটার্নিং অফিসার আবুল কাসেম এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন। তাতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফুটপাতের নির্বাচনী ক্যাম্প অপসারণ, বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ থেকে প্রচার সামগ্রী সরাতে বলা হয়েছে।
দক্ষিণের রিটার্নিং অফিসার আব্দুল বাতেনও একই রকম চিঠি সোমবারই পাঠিয়েছেন বলে তার স্টাফ অফিসার মাসুদুল হক জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “এ ধরনের অননুমোদিত প্রচার সামগ্রী সরাতে সব প্রার্থী, পুলিশ ও নির্বাহী হাকিমকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
এদিকে উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের অনুমতি দিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার।
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী আইন/বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালার বিধান এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন প্রতিপালন পূর্বক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা করার অনুমতি প্রদান করা হল। উল্লেখ্য যে, একই সঙ্গে প্রচারণার ব্যয় মোট নির্বাচনী ব্যয়ের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং ব্যয়সীমা অতিক্রম করা যাবে না।
গত ৩ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের অনুমতি চেয়ে উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন তাবিথ আউয়াল।
১ ফেব্রুয়ারি উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ভোট রয়েছে। ৩০ জানুয়ারি মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে প্রচারণা।