ঋণের নামে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতে এবি ব্যাংক কর্মকর্তাও আসামি

জালিয়াতির মাধ্যমে এবি ব্যাংক থেকে ইলিয়াস ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডের নামে ৯০ দিনের মেয়াদি ঋণ নিয়ে প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির এক সাবেক কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Jan 2020, 01:27 PM
Updated : 28 Jan 2020, 01:27 PM

মঙ্গলবার সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এ দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

আসামিরা হলেন- এবি ব্যাংকের সাবেক এসভিপি ও খাতুনগঞ্জ শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. আশরাফুল আজিজ, মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামসুল আলম, তার ছেলে নাহার ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়াইব, মাররীন ভেজিটেবল অয়েলসের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহাম্মদ।

মমলায় বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতি করে মিথ্যা তথ্য ও দলিলপত্র দাখিল করে এবি ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে ১৯ কোটি ৭৯ লাখ ৬২ হাজার ৮২২ টাকা মেয়াদি ঋণ গ্রহণ করে মালামাল ক্রয়-বিক্রয় না করে আত্মসাৎ করেন।

ওই সব অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬২(ক)/৪৬২(খ)/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং ২০০৯ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মেসার্স মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্স ২০১০ সালে প্রতি মেট্রিক টন ৬৭ হাজার ২০৪ টাকা দরে মাররীন ভেজিটেবল অয়েলস লিমিটেড থেকে তিন হাজার ২৭৩ মেট্রিক টন সেমি রিফাইন্ড পাম অয়েল কেনার চুক্তি করে। এই চুক্তিপত্র এবি ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখায় দাখিল করে ২৩ কোটি টাকার ঋণের আবেদন জানায়।

এজাহারে বলা হয়, ভুয়া ক্রয় চুক্তিপত্র হওয়া সত্ত্বেও তা জেনেবুঝে ব্যাংকটির তৎকালীন শাখা ব্যস্থাপক আশরাফুল আজিজ ঋণ প্রস্তাব প্রস্তুত করে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়ে তা অনুমোদন করিয়ে নেন। এরপর মাররীন ভেজিটেবল অয়েলসের নামে ১৯ কোটি ৭৯ লাখ ৬২ হাজার ৮২২ টাকার পে-অর্ডার ইস্যু করা হয়।

পরবর্তীতে মাররীন ভেজিটেবল অয়েলস লিমিটেডের সহযোগিতায় এসব টাকা মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল ইসলামের ছেলে শোয়াইবের প্রতিষ্ঠান নাহার ট্রেডিং করপোরেশনের নামে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে জমা হয়। পরে এসব টাকা দিয়ে নাহার ট্রেডিং কর্পোরেশনের তিনটি ঋণ হিসাবের বকেয়া অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে বলে মামলায় বলা হয়।