খারিজের আদেশে আদালত বলেছে, তাবিথের সিঙ্গাপুরের ব্যবসা সংক্রান্ত যেসব নথিপত্র দাখিল করা হয়েছে, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ করা কর্তৃক প্রত্যায়িত নয়।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথের সম্পদের তথ্য গোপনের খবর সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে এলে তার প্রার্থিতা বাতিলে গত বৃহস্পতিবার ইসিতে আবেদন করেছিলেন বিচারপতি মানিক।
‘সুনির্দিষ্ট’ অভিযোগ দেওয়ার পরও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় রোববার হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন আপিল বিভাগের সাবেক এই বিচারক।
সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হয়।
দীর্ঘ শুনানিতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন কামরুল হক সিদ্দিকী। তাবিথের পক্ষে ছিলেন রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও খায়রুল আলম চৌধুরী।
আদেশে আদালত বলে, রিট আবেদনে তাবিথ আউয়ালের সিঙ্গাপুরে ব্যবসা সংক্রান্ত যেসব কাগজপত্র দাখিল করা হয়েছে, তাতে সিঙ্গাপুরে তার ব্যবসার একটা সংশ্লিষ্টতা দেখা যাচ্ছে।
“কিন্তু যেসব কাগজপত্র রিট আবেদনকারী দাখিল করেছেন, সেসব কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রত্যায়িত না।ফলে এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।”
আদেশে আরও বলা হয়, “তাছাড়া নির্বাচনের মাত্র চার দিন বাকি আছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে এসব কাগজপত্র যাচাই করে বিষয়টির সুরাহা করা সম্ভব না। যদি কোনো পক্ষ আগ্রহী থাকে তাহলে তবে নির্বাচনের পরেও এ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। এটি উভয় পক্ষের জন্যই ভালো হবে। অতএব আবেদনটি সরাসরি খারিজ করা হল।”
আদালতের আদেশের পর বিচারপতি মানিক বলেছেন, তিনি আপিল বিভাগে যাবেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নির্বাচনের মাত্র চার দিন আছে। এটা যাচাই-বাছাই করার সুযোগ নির্বাচনের পরেও আছে। আমরা আপাতত হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাব।”
বিচারপতি মানিক এর আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “সিঙ্গাপুরে তাবিথ আউয়ালের যে ব্যবসায়িক কোম্পানি এনএফএম এনার্জির তথ্য হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেনি। ফলে সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সে আর প্রার্থী থাকতে পারে না।”
সিঙ্গাপুরের কোম্পানি এনএফএম এনার্জির (সিঙ্গাপুর) এর তিন অংশীদারদের মধ্যে তাবিথ একজন বলে রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে। মিন্টু বিএনপির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান।
হলফনামায় তথ্য গোপনের খবর নিয়ে মুখ খোলেননি তাবিথ।