এই প্রতারণার শিকার ইয়াসিন মোল্লার পক্ষে থানায় মামলাও হয়েছে। তার মতো আরও দুজনেরও এমন প্রতারকের খপ্পরে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইয়াসিন মোল্লা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। সেখানে দলসমর্থিত প্রার্থী থাকলেও ভোটের মাঠে আছেন তিনি।
এঘটনায় তার ছেলে কাওসার মোল্লা বাদী হয়ে গত ২৪ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন বলে আদাবর থানার ওসি কাজী শহিদুজ্জামান জানিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২২ জানুয়ারি সকালে আদাবর থানার ওসির মোবাইল নম্বর থেকে কল করে ওসি পরিচয় দিয়ে ইয়াসিন মোল্লাকে ভোটে জেতাতে সহযোগিতার প্রস্তাব দেন এক ব্যক্তি। এজন্য তিনি একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে একটি মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেন।
কিছুক্ষণ পর কথিত ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিনকে কল করে নির্বাচনে জেতানোর আশ্বাস দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা পাঠাতে বলেন। এর মধ্যে এখন পাঁচ লাখ ও নির্বাচনের পর ১০ লাখ টাকা দিতে বলে।
জানতে চাইলে ওসি শহিদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইয়াসিন মোল্লা প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে তাকে দ্রুত থানায় আসতে বলা হয়। ফোন নম্বর ক্লোন করে এঘটনা ঘটানো হয়ে থাকতে পারে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
ইয়াসিন মোল্লা যে ওয়ার্ডে নির্বাচন করছেন, সেই ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল কাশেম এবং পাশের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ডেইজী সারওয়ারের কাছ থেকেও একই পদ্ধতিতে ৫ লাখ করে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র।
তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা এই তিনজনের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানতে পেরে আসামিদের ধরতে কাজ শুরু করেছি। এই চক্রের কেউ ধরা পড়লে তারা আর কার কার কাছ থেকে নিয়েছে তা জানা যাবে।”