ইভিএম বাতিলে ইউনুছ আলীর রিট আবেদন খারিজ

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দের করা রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2020, 05:30 PM
Updated : 26 Jan 2020, 05:30 PM

ফলে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ইউনুছ আলী নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. নুর উস সাদিক। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন মো. ইয়াসিন।

গত ২২ জানুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী।

রিট আবেদনে তিনি বলেছিলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন আইন, ২০০৯ এর ১২০(১)ধারাবিরুদ্ধ, সংবিধানের লঙ্ঘন এবং আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত।

তার যুক্তি ছিল, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়া সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত এখন পর্যন্ত কোনো আইন, অধ্যাদেশ বা আদেশ হয়নি। তাছাড়া সিটি করপোরেশন আইন, ২০০৯ এর ৩৫ ধারায় নির্বাচন কমিশনকে ইভিএম ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

সিটি করপোরেশন আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৫ এ বলা হয়েছে, ‘নিবার্চন কমিশন তদ্‌কর্তৃক প্রণীত বিধি অনুসারে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর নিবার্চনের আয়োজন, পরিচালনা ও সম্পাদন করিবে; এবং অনুরূপ বিধিতে নিম্নরূপ সকল বা যে কোন বিষয়ের বিধান করা যাইবে, যথা:-(জ) ভোট প্রদানের পদ্ধতি;

আর এ আইনের ১২০ (১)ধারায় বলা হয়েছে,

এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে-(ক) সরকার দফা (খ) এর বিধান সাপেক্ষে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে;

(খ) নির্বাচন কমিশন, মেয়র ও কাউন্সিলরের নির্বাচন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের আচরণ, নির্বাচন বিরোধ, নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধ, উক্তরূপ অপরাধের দণ্ড, প্রয়োগ এবং এতদ্‌সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া সরকার ষষ্ঠ তফসিলে বর্ণিত বিষয়সমূহের যে কোন অথবা সকল বিষয়ে এবং যে সকল বিষয় প্রাসঙ্গিক ও পরিপূরক সেই সকল বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সিটি করপোরেশন আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৫(জ) আদালতের সামনে তুলে ধরে বলেন, আইনের এ ধারা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে ভোট কোন পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হবে। ফলে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার আইন অনুযায়ীই হচ্ছে।

এরপর আদালত রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয়।