গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. ফকর উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান রাসেল, মো. রশিদুজ্জামান ওরফে তুষার, মো. শফিকুল ইসলাম, এইচ এম মশিউর রহমান ওরফে পাপ্পু, ইমতিয়াজ আহমেদ, আরিফুল ইসলাম ওরফে নিশান ও মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান ।
শনিবার রাতে রাজধানীর ডেমরা, মতিঝিল ও মোহাম্মদপুর থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসব অভিযানে অপহরণচক্রটির কাছ থেকে একটি প্রাইভেট কার, তিনটি মোটর সাইকেল, পিস্তল, ডিবি পুলিশের পোশাক, পুলিশ সার্জেন্টের র্যাঙ্কব্যাজসহ একটি শার্ট, কনস্টেবল পদমর্যদার শার্ট, ইস্পাতের লাঠি, তিনটি ওয়ারলেস সেট, চারটি পিস্তল সদৃশ্য লাইটার, সেনাবাহিনীর পোশাক তৈরির থান কাপড়, ১৫টি মোবাইল ফোন ও আইপ্যাড জব্দ করা হয়।
রোববার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন বলেন, কুড়িগ্রাম জেলা আইজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলামের তানজিম আল-ইসলাম দিবস ও তার শ্যালক খালিদ হাসান ধ্রুবকে গত ২১ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থেকে অপহরণ করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা বাতেন বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জিগাতলার বাসা থেকে মহাখালী ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে যান তানজিম। দুপুর ২টার দিকে তার বোনের সাথে সর্বশেষ কথা হয়।
“তিনি বলেছিলেন তাজমহল রোডে কাজ শেষে মামাকে (খালিদ হাসান ধ্রুব) নিয়ে বাসায় ফিরবেন। এরপর তানজিমের বাবা ফখরুল ইসলাম ও বোন কয়েকবার তার মোবাইল ফোনে কল করে বন্ধ পান।
“বুধবার বিকালে এক ব্যক্তি তানজিমের মাকে ফোন করে জানায় তানজিম ও তার মামা ধ্রুবকে অপহরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তানজিমের বাবা মোহাম্মদপুর থানায় জিডি করেন।”
অপহরণকারীরা ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে শুক্রবার বিকাল ৫টার মধ্যে টাকা দিতে বলে। টাকা না দিলে দইজনকে হত্যার হুমকি দেয় বলে জানান আব্দুল বাতেন।
তিনি বলেন, “গ্রেপ্তাররা পেশাগত অপহরণকারী। আগেও তারা অপহরণের ঘটনায় জেল খেটেছে। তানজিমের বাবা তাদের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন।
“সে সুবাদে অপহরণকারীদের ওই পরিবার সম্পর্কে বিস্তর ধারণা ছিল। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তারা তানজিম ও তার মামাকে অপহরণ করে।”
অপহরণের ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।