ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ: ডিএনএ পরীক্ষায়ও মজনুর সম্পৃক্ততার প্রমাণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণে গ্রেপ্তার মজনুর ডিএনএ পরীক্ষায়ও সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Jan 2020, 06:42 PM
Updated : 26 Jan 2020, 02:08 PM

এই মামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তারা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি থেকে গত ২১ জানুয়ারি ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন পেয়েছেন।

“সেখানে মজনুর ডিএনএ নমুনার সাথে ধর্ষিত শিক্ষার্থীর বিভিন্ন আলামত থেকে যে সব নমুনা নেওয়া হয়েছে তার মিল পাওয়া গেছে।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সিআইডির ল্যাবে ডিএনএ পরীক্ষার পর গত সপ্তাহে তারা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছেন।

“সেখানে মজনুর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।”

এই মামলার তদন্ত কাজ প্রায় গুছিয়ে আনা হয়েছে জানিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তা মশিউর বলেন, এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রতিবেদন পাওয়া গেলে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।

ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, “আমাদের প্রতিবেদন প্রায় গুছিয়ে আনা হয়েছে। খুব সহসাই তা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”

গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় শ্যাওড়ায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে নেমে ধর্ষিত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

তিন দিনের মাথায় ৮ জানুয়ারি মজনু নামের আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী এই যুবককে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব বলে, ‘মাদকাসক্ত’ এই যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ধর্ষক। ওই ছাত্রীও ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেছেন। 

র‌্যাবের ভাষ্য মতে, মজনু এক সময় বিবাহিত ছিলেন। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। জিজ্ঞাসাবাদে পেশা হিসেবে দিনমজুরি ও হকারির কথা বললেও তিনি ‘ছিনতাই, রাহাজানি, চুরির মত কাজেও’ জড়িত ছিলেন।

মজনুকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দা পুলিশ। ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। ওই শিক্ষার্থীও আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

তবে ‘দুর্বল’ শরীরের মজনুই প্রকৃত ধর্ষক কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূর। ডাকসুর আরেক সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্নাও এটা ‘জজ মিয়া’ নাটক হচ্ছে কি না সেই সংশয়ের কথা জানান।