ঢাকায় নেমেই বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে জুলিও সিজার

ঢাকায় নেমেই বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার জুলিও সিজার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Jan 2020, 05:10 PM
Updated : 23 Jan 2020, 05:10 PM

আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন-সিআরআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জুলিও সিজার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শনে আসেন। তিনি সেখানে এক ঘণ্টা অবস্থান করেন।

সেখানে তাকে স্বাগত জানান সিআরআইয়ের ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর এন আই খান।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক জুলিও সিজারকে পুরো জাদুঘর ঘুরে দেখান। বঙ্গবন্ধুর শয়নকক্ষ, তার পরিবারের সদস্যদের ছবি, তারা কে কী করতেন তা সিজারকে বলেন ববি; শুনিয়েছেন পঁচাত্তরের পনের অগাস্টে ঘাতকের বুলেটে বঙ্গবন্ধু কীভাবে শহীদ হয়েছেন সেই মর্মান্তিক কাহিনী।

বত্রিশ নম্বরের বাড়ির দেয়ালে ঘাতকের সেই বুলেটের চিহ্ন দেখিয়ে ববি জানান, তার মায়ের পরিবারের সদস্যদের কীভাবে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছিল সেই রাতে।

পরে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি সিআরআই থেকে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু গ্রাফিক নভেলের ইংরেজি সংস্করণের প্রথম তিন খণ্ড উপহার দেন জুলিও সিজারকে।

ব্রাজিলিয়ান এই গোলরক্ষক পরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ, মহিলা ফুটবল দলের সঙ্গে সময় কাটানো মিলিয়ে ব্যস্ত একটি দিন কাটিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে জুলিও সিজারকে এনেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

সৌজন্য সফরে এসে গণমাধ্যমের সঙ্গে বর্ণিল ক্যারিয়ার, ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে জার্মানির বিপক্ষে বিধ্বস্ত হওয়া সেই ম্যাচসহ আরও অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ইন্টার মিলানের হয়ে ট্রেবল জেতা এই গোলরক্ষক।

জুলিও সিজার বলেন, “এখানকার পরিস্থিতি দেখে আমার মনে পড়ছে ব্রাজিলের হয়ে খেলা সময়ের কথা। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসার সুযোগ দেওয়ায় বাফুফে সভাপতিকে ধন্যবাদ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি মাত্র একদিন এখানে থাকছি। আরও কিছু সময় থেকে এই দেশটাকে জানতে পারলে ভালো লাগত।

“এ দেশের জাতির পিতার বাড়ি পরিদর্শনের সুযোগ পেয়েছি। এটা খুবই আবেগের সফর ছিল। আসার আগে আমি কিছুই জানতাম না, কিন্তু এখন এই দেশটি সম্পর্কে আমি অনেক কিছু জানি। বাংলাদেশের জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী সামনে রেখে এখানে আসতে পেরে আমি খুশি।”

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের প্রকৃত ফুটবলার অভিহিত করে জুলিও সিজার বলেন, “কেননা আমি কল্পনা করতে পারি, যুদ্ধের সময় দেশের জন্য ফুটবল খেলা সহজ নয়। এটা করতে হলে আপনাকে খুবই দৃঢ় মনোবলের হতে হবে। তারা এখনও শক্তিশালী আছে। এটা আমাদের জন্য ভালো অভিজ্ঞতা, কেননা পরিবার, আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক ফুটবলারদের সঙ্গে আমি এই স্মৃতি ভাগাভাগি করতে পারব।”

২০১৪ সালে নিজেদের মাঠে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হারের পর ‘কেউ কোনো কথা বলেনি’ বলেও জানালেন সিজার। প্রশংসা করলেন লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর। নিজের কাছে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বললেন রোনালদিনিয়োর নাম।