শাহ আবদুল কুদ্দুস (৩২) নামের এই সদস্য বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে মিরপুর ১৪ নম্বরে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) কার্যালয়ে আত্মহত্যা করেন। সেখানকার ব্যারাকেই থাকতেন তিনি।
বিবাহিত কুদ্দুসের বাড়ি হবিগঞ্জে।
পিওএম উত্তরের উপ-কমিশনার নাজমুল হাসান বলেন, “বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে ডিউটিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে নিজের নামে ইস্যু করা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করেন কুদ্দুস।”
কুদ্দুস আত্মহত্যার আগে ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। স্ট্যাটাসে পারিবারিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী থাকবে না বলেও লিখেছেন তিনি।
“সহকর্মীরা তাদের জন্য নির্ধারিত গাড়িতে উঠলেও কুদ্দুস উঠেনি। এক ফাঁকে সে তার অস্ত্রটি (এসএমজি) নিয়ে কার্যালয়ের ভেতরে একটু দূরে আরেকটি ফাঁকা গাড়িতে গিয়ে উঠে।
“রওনা হওয়ার আগে সহকর্মীরা কুদ্দুসকে না পেয়ে খুঁজতে থাকে। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ গুলির শব্দ পেয়ে তারা ওই গাড়ির কাছে ছুটে গিয়ে তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে।”
ফেইসবুকে কুদ্দুসের দেওয়া স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা পরে জেনেছি সে পারিবারিক সমস্যার বিষয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে।”
বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।