পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার বশির আহমেদ বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দুপুরে উত্তরা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই চারজনই পরস্পর আত্মীয়।
এর আগে এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি ফরহাদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
হামলায় মোট সাতজন ছিল জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এই চারজনকে নিয়ে এ মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হল।
“প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পূর্বের ক্ষোভ থেকে নাজমুলের পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা এই হামলা চালিয়েছিল।”
গত ৫ জানুয়ারি রাতে সারওয়ার আলীর উত্তরার বাড়িতে দুজন ঢুকে সারওয়ার আলীকে মেঝেতে শুইয়ে তার গলায় ছুরি ধরেছিল। প্রতিরোধের মুখে তারা পালিয়ে যায়।
হামলাকারীদের ফেলে যাওয়া মোবাইল সেট নাজমুলের বলে পিবিআই নিশ্চিত হয়।এছাড়া হামলাকারীরা নিচতলায় গ্যারেজে একটি ব্যাগ ফেলে যায়, যেখানে ৭টি স্টিলের চাপাতি, একটি সিম ছাড়া মোবাইল সেট, একটি প্রেশার মাপার যন্ত্র, একটি আইপ্যাড ও লাইলনের দড়ি ছিল।
সে সময় সারওয়ার আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “দুর্বৃত্তদের রেখে যাওয়া চাপাতি দেখে মনে হচ্ছে, তারা জঙ্গি হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে এসেছিল। হত্যাচেষ্টাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল।”