ই-পাসপোর্ট যুগে বাংলাদেশ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের নাগরিকরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Jan 2020, 05:57 AM
Updated : 22 Jan 2020, 06:37 AM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তার ই-পাসপোর্টটি তুলে দেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাকিল আহমেদ।

ই-পাসপোর্ট চালুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের ১১৯তম দেশ বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

২০২০ সালের মধ্যেই সারাদেশে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ রয়েছে সরকারের। এছাড়া বিদেশে অবস্থানরতরাও পর্যায়ক্রমে ই-পাসপোর্ট পাবেন। পাশাপাশি মেশিন রিডেবল পাসপোর্টও কার্যকর থাকবে।

ই- পাসপোর্টের আবেদন আপাতত শুধু ঢাকার আগারগাঁও, উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী পাসপোর্ট কার্যালয়ে নেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে কার্যক্রম বিস্তৃত হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ইতোপূর্বে জানিয়েছেন।

ই-পাসপোর্ট হবে ৪৮ ও ৬৪ পাতার। আর তা হবে পাঁচ ও ১০ বছর মেয়াদী।

৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদী সাধারণ পাসপোর্টের (১৫ দিনের মধ্যে দেওয়া হবে) এর জন্য ফি লাগবে ৩ হাজার ৫০০ টাকা। আর সাতদিনের মধ্যে (জরুরি) পেতে হলে ৫ হাজার ৫০০ টাকা ও দুদিনে (অতি জরুরি) পাওয়ার জন্য খরচ করতে হবে ৭ হাজার ৫০০ টাকা।

একই সংখ্যক পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী সাধারণ ই-পাসপোর্টের জন্য ৫ হাজার, জরুরি ৭ হাজার ও অতি ‍জরুরির জন্য ৯ হাজার টাকা হাজার টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

আর ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট করতে লাগবে যথাক্রমে ৫ হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ৭ হাজার ৫০০ টাকা ও অতি জরুরি ১০ হাজার ৫০০ টাকা।

৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট করতে লাগবে যথাক্রমে ৭ হাজার (সাধারণ), ৯ হাজার (জরুরি) ও ১২ হাজার (অতি জরুরি) টাকা।

ই-পাসপোর্ট এর আবেদন অনলাইনে অথবা পিডিএফ ফরমেট ডাউনলোড করে পূরণ করা যাবে। এতে কোনো ছবির প্রয়োজন হবে না; কাগজপত্র সত্যায়নও করতে হবে না।

 

বাংলাদেশে হাতে লেখা পাসপোর্ট থেকে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট বা এমআরপি প্রবর্তনের পর এক দশকও পার হয়নি। কিন্তু এমআরপির ডেটাবেইজে ১০ আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় এক ব্যক্তির নামে একাধিক পাসপোর্ট করার ঘটনা দেখা যায়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে নাগরিক ভোগান্তি কমাতে এবং একজনের নামে একাধিক পাসপোর্ট করার প্রবণতা বন্ধ করতে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) চালু করতে উদ্যোগী হয় সরকার। ২০১৮ সালের ২১ জুন প্রকল্পটি একনেকের সায় পায়।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ওই বছরের জুলাইয়ে জার্মান কোম্পানি ভেরিডোসের সঙ্গে চুক্তি করে পাসপোর্ট ও বহির্গমন অধিদপ্তর। সোয়া তিন হাজার কোটি টাকায় বাংলাদেশকে ই-পাসপোর্ট ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করছে তারা।

ই-পাসপোর্ট নামে পরিচিত বায়োমেট্রিক পাসপোর্টে স্মার্ট কার্ড প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যাতে মাইক্রোপ্রসেসর চিপ এবং অ্যান্টেনা বসানো থাকে। এ পাসপোর্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাসপোর্টের ডেটা পেইজ এবং চিপে সংরক্ষিত থাকে।

আরও খবর