মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়।
এক মাসে একাদশ সংসদের চার জন সংসদ সদস্য মারা যাওয়ায় তাদের আসনগুলো শূন্য হয়ে পড়ে। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে লড়তে শেখ ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করলে ঢাকা-১০ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।
এসব আসনে আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনে উপনির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
উপনির্বাচনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের প্রস্তুতিও এসভার আলোচ্যসূচিতে ছিল।
সভা শেষে ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, “নির্বাচন কবে করা যায় সেগুলো নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তবে কখন হবে সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী ২৮ তারিখ কমিশন সভা হবে, সেখানে চেষ্টা করা হবে এগুলোর তারিখ চূড়ান্ত করার জন্য। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়েও সেদিন সিদ্ধান্ত হবে।”
মুজিববর্ষ শুরু হচ্ছে ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, আর এপ্রিলজুড়ে এইচএসসি পরীক্ষা- এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করবে কমিশন।
গত ২৭ ডিসেম্বর গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইউনূস আলী সরকার, ৯ জানুয়ারি রাতে বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মোজাম্মেল হোসেন এবং ১৮ জানুয়ারি বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মান্নান মারা যান। আর মঙ্গলবার সকালে মারা যান সংসদ সদস্য ইসমাত আরা সাদেক।
২০১৫ সালে ঢাকার দুই সিটির সঙ্গে নির্বাচন হলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নতুন পর্ষদের দায়িত্ব পালন পরে শুরু হয়েছিল। সেজন্য ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে ১৮০ দিন গণনা শুরু হবে। চট্টগ্রাম সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের জুলাইয়ে।