পি কে হালদারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে পিপলস লিজিংয়ের ৩ পরিচালককে দুদকে তলব

রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেসের তিন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Jan 2020, 03:52 PM
Updated : 21 Jan 2020, 03:52 PM

মঙ্গলবার অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিসে তাদের আগামী ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি হাজির হতে বলা হয় বলে দুদকের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

যাদেরকে তলব করা হয়েছে তারা হলেন, পিপলস লিজিংয়ের পরিচালক ও ভাইস চেয়ারম্যান নিজামুল আহসান, তাকে ২৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় আসতে বলা হয়েছে।

অন্য দুই পরিচালক সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও ইউসুফ ইসমাইলকে ২৮ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় দুদকের হাজির হতে নোটিসে বলা হয়েছে।

গত ৮ জানুয়ারি প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে পৌনে ৩০০ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক।

দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি প্রশান্ত কুমারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন- ২০০৪ এর ২৭(১) ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন- ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

মামলায় বলা হয়, লিপরো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও পিঅ্যান্ডএল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ছাড়াও বিভিন্ন কাগজে কোম্পানিতে প্রশান্ত কুমার হালদারের ১২৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকার সম্পত্তি রয়েছে, যা তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন।

অন্যদিকে তিনি ময়মনসিংহের ভালুকায় ৫৮৯ শতক জমি কিনেছেন, কিন্তু এর কোনো আয়ের উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। তিনি ছলছাতুরির আশ্রয় নিয়ে বেনামে (অন্যদের নামে) ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা রেপটাইলস ফার্মের নামে প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন।

এছাড়া প্রশান্ত কুমার নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিতে বেনামে ৩৩ লাখ টাকা, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে বেনামে ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, আজিজ ফেবরিক্স লিমিটেডে বেনামে ৬৩ লাখ টাকা, আনান কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজে বেনামে চার কোটি ৯০ লাখ টাকা, একইভাবে ক্লীউইস্টন ফুড অ্যান্ড একোমোডেশনে ৩১ কোটি ৪৫ লাখ ২৬ হাজার ৪০০ টাকা, রহমান কেমিকেলে ৭০ লাখ টাকা বেনামে বিনিয়োগ করেন বলে মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে।

প্রশান্ত কুমার হালাদার কয়েকটি ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় এসব টাকা উপার্জন করেন। এসব টাকা আয়ের কোনো বৈধ উৎস নেই উল্লেখ করে তা প্রশান্ত কুমার হালদারের অবৈধ সম্পদ বলে মামলায় বলা হয়।