প্রশাসনের বিসিএস কর্মকর্তা বেশি ঢাকা জেলায়

সারা দেশের মধ্যে ঢাকা জেলায়ই সবচেয়ে বেশি বিসিএস ক্যাডার (প্রশাসন) কর্মকর্তা, এ সংখ্যা ৩৫৫ জন বলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2020, 12:21 PM
Updated : 19 Jan 2020, 12:35 PM

রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে এই তথ্য দেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রীর জবাব থেকে জানা যায়, বিসিএস ক্যাডার (প্রশাসন) সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। এ জেলায় আছেন ২৫০ জন ক্যাডার কর্মকর্তা। এছাড়া তৃতীয় অবস্থানের কুমিল্লায় আছেন ২৯২ জন। এরপর ময়মনসিংহে আছেন ২১৪ জন।

অপরদিকে সবচেয়ে কম ক্যাডার কর্মকর্তা রয়েছে পার্বত্য বান্দরবান জেলায়। এ জেলায় আছেন মাত্র আটজন। এছাড়া অপর দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে ২৯ জন এবং রাঙ্গামাটিতে ৩৭ জন ক্যাডার কর্মকর্তা আছেন। আর সচিব পদমর্যাদার সর্বোচ্চ পাঁচজন কর্মকর্তা আছেন বরিশাল জেলার।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ক্যাডার কর্মকর্তা (প্রশাসন) আছেন ছয় হাজার ৫৫ জন। এর মধ্যে সিনিয়র সচিব পদে ১০ জন, সচিব পদে ৬৭ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে ৫৭ জন, যুগ্ম সচিব পদে ৬৫৮ জন, উপসচিব পদে এক হাজার ৬৯৩ জন, সিনিয়র সহকারী সচিব পদে এক হাজার ৫২২ জন ও সহকারী সচিব পদে এক হাজার ৫৫৮ জন।

সরকারের বিভিন্ন পদে বর্তমানে ১৭৭ জন চুক্তিভিত্তিতে নিয়োজিত আছেন। এছাড়া বিভিন্ন স্তরের ২৯০ জন ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আছেন।

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মেলনে কর্মকর্তারা (ফাইল ছবি)

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে সরকারি চাকুারিজীবীর সংখ্যা ১২ লাখ ১৭ হাজার ৬২ জন।

ফরহাদ হোসেন জানান, বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে তিন লাখ ১৩ হাজার ৮৪৮টি পদ শূন্য রয়েছে।

সরকারি শূন্যপদে নিয়োগ চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি জানান, ৩৭তম ও ৩৯তম বিসিএসের মাধ্যমে গত বছর ৫ হাজার ৮৫৯ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৪০তম বিসিএসের মাধ্যমে এক হাজার ৯১৯ জন ক্যাডার পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। ১০-১২তম গ্রেডের জনবল কর্ম কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এছাড়া ১৩-২০ তম পদে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় বা দপ্তর থেকে নিয়োগ হয়ে থাকে। গত বছর (১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯) বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৮৮ হাজার ১২৩টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ সময় ৮৪৬টি পদে নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

বিচারাধীন মামলা ৩৬ লাখ ৪০ হাজার ৬৩৯

প্রশ্নোত্তরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, বর্তমানে (সেপ্টেম্বর ২০১৯) বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৬ লাখ ৪০ হাজার ৬৩৯টি। এর মধ্যে দেওয়ানি মামলা ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ১০৭টি এবং ফৌজদারি ২০ লাখ ৯০ হাজার ৫২৬টি। এছাড়া অন্যান্য মামলার সংখ্যা (কনটেম্পট পিটিশন/রিট/আদিমসহ) ৯৭ হাজার ৪টি।

তিনি জানান, বিচারাধীন মামলার মধ্যে উচ্চ আদালতের ৫ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৬টি এবং নিম্ন আদালতের ৩১ লাখ ২৭ হাজার ২৪৩টি। বিচারাধীন মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য পদ সৃষ্টি, শূন্য পদে নিয়োগসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

স্বাক্ষরের অপেক্ষায় তিস্তা চুক্তি

বিএনপির হারুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, গঙ্গা চুক্তির আলোকে ফারাক্কায় গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন কার্যক্রম অব্যাহত আছে। তিস্তা নদীর অন্তর্বর্তীকালীন পানিবণ্টন চুক্তির খসড়া ফ্রেমওয়ার্ক চূড়ান্ত করা হয়েছে।

“বর্তমানে এটি যথাযথ পর্যায়ে স্বাক্ষরের জন্য অপেক্ষমাণ। এছাড়া মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বণ্টন চুক্তির খসড়া ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়নের জন্য হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত বিনিময়ের প্রক্রিয়া চলমান আছে। পরবর্তী পর্যায়ে মহানন্দাসহ অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”