আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি রোববার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে সংশোধিত পরীক্ষা সূচি প্রকাশ করেছে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও সিটি ভোটের কারণে এখন তা ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, ৩ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসএসসির তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে। আর ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা নিতে হবে।
সূচি পরিবর্তনে সব পরীক্ষায়ই পিছিয়েছে, ইংরেজি ও গণিত পরীক্ষার আগে বিরতিও থাকছে। আগের সূচিতে ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র এবং গণিত পরীক্ষার আগে একদিন করে বিরতি ছিল। নতুন সূচিতে অন্য দুটিতে একদিন হলেও ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের আগে দুই দিন বিরতি থাকছে।
এ বছর তিন হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পর্যায়ের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেবে।
সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর দুদিন আগে ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণের দিন ঠিক করে ইসি। কিন্তু ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা থাকায় দেখা দেয় জটিলতা।
পূজার কারণে তফসিল ঘোষণার পরপরই তার বিরোধিতা করেছিল পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদও ভোটের দিন পরিবর্তনের দাবি জানায়।
কিন্তু তা আমলে নেয়নি ইসি। এরমধ্যে ভোটের তারিখ পরিবর্তনে হাই কোর্টে রিট আবেদন হলে তা খারিজ হয়ে যাওয়ার পর ইসি ৩০ জানুয়ারি ভোট করার বিষয়ে আরও শক্ত অবস্থান নেয়।
ইসির পক্ষ থেকে যুক্তি দেখানো হয়েছিল, ৩০ জানুয়ারিই ভোটগ্রহণের জন্য ‘উপযুক্ত’ দিন। কারণ তার পরের দিন ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার বলে সেদিন ভোটগ্রহণের নজির নেই। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে বলে প্রায় এক মাস আর ভোট করা যাবে না।
কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী অনশন শুরু করলে এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কর্মসূচি ঘোষণা করলে ভোটের দিন বদলের দাবি জোরাল হয়ে ওঠে।
আওয়ামী লীগসহ অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলো জানায়, ভোটের তারিখ পরিবর্তনে তাদের আপত্তি নেই। প্রধান প্রধান প্রার্থীরাও ভোটের তারিখ পরিবর্তনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে ইসিকে আহ্বান জানায়।
শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে অযৌক্তিক বললেও তাদের পক্ষে জনমত জোরাল হয়ে ওঠার প্রেক্ষাপটে শনিবার আকস্মিকভাবে জরুরি বৈঠকে বসে ইসি। তারমধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর ভোট পেছানো হয়।