রোববার ঢাকা মহানগর ষষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি মামলাটির শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে। সেদিন অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানি হবে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন আদালতের পেশকার ফয়েজ আহমেদ।
‘অবৈধভাবে সুযোগ প্রদানের হীন উদ্দেশ্যে’ এনামুল বাছির ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোপত্রে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা ফানাফিল্লাহ।
অন্যদিকে ডিআইজি মিজান সম্পর্কে অভিযোগপত্রে বলা হয়, তিনি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার আশায় দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছিরকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের ‘দায় থেকে বাঁচার জন্য’ ডিআইজি মিজানুর অসৎ উদ্দেশ্যে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে খন্দকার এনামুল বাছিরকে ‘প্রভাবিত করেন’ বলে অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়েছে।
ডিআইজি মিজান ও দুদক কর্মকর্তা এনামুল দুজনই কারাগারে রয়েছেন।
এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠায় গত বছরের জানুয়ারিতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মিজানকে।
এর চার মাস পর তার সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক; এক হাত ঘুরে সেই অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান কমিশনের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।
সেই অনুসন্ধান চলার মধ্যেই ডিআইজি মিজান গত ৮ জুন দাবি করেন, তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা বাছির।
এর সপক্ষে তাদের কথপোকথনের কয়েকটি অডিও ক্লিপ একটি টেলিভিশনকে দেন তিনি। ওই অডিও প্রচার হওয়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা।
অভিযোগটি অস্বীকার করে বাছির দাবি করেন, তার কণ্ঠ নকল করে ডিআইজি মিজান কিছু 'বানোয়াট' রেকর্ড একটি টেলিভিশনকে সরবরাহ করেছেন।
অন্যদিকে ডিআইজি মিজান বলেন, সব জেনেশুনেই তিনি কাজটি করেছেন ‘বাধ্য হয়ে’।
ঘুষের অভিযোগ ওঠার পর তাদের দুজনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
গত বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে। অপরদিকে আরেক মামলায় গ্রেপ্তার ডিআইজি মিজানকে পরে এই মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।