ফজলে হাসান আবেদের ‘চিন্তার কেন্দ্রে ছিল সাধারণ মানুষ’

ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের শিক্ষা ও উন্নয়নচিন্তার কেন্দ্রে ছিল সাধারণ মানুষ। সারাজীবনের চিন্তা ও বহুগামী কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বের উন্নয়নেও ভূমিকা রেখেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2020, 06:38 PM
Updated : 16 Jan 2020, 06:38 PM

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘শিক্ষায় স্যার আবেদ : তাঁর চিন্তা, আদর্শ ও কৃতি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন।

ফজলে হাসান আবেদের স্মরণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন। ফজলে হাসান আবেদ এই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, “শিক্ষার প্রসারে আবেদ ভাই গভীরভাবে চিন্তা করতেন। সবচেয়ে বেশি সময় ধরে টিকে থেকে পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। এ ধারণা থেকেই স্যার আবেদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি যাই করতেন না কেন, সে বিষয়ে তিনি পৃথিবীর সেরা মানুষদের পরামর্শ গ্রহণ করতেন।

“আবেদ ভাইয়ের অবদান স্বল্প সময়ের মধ্যে শুধু আলোচনা করলেই শেষ হবে না। তবে এইটুকু বলা যায় যে, তিনি শুধু বাংলাদেশের উন্নয়নেই অবদান রাখেননি, বিশ্বের অনেক দেশের উন্নয়নেও তার অবদান আছে। আর এই জন্যই তিনি শুধু বাংলাদেশের মানুষের কাছে নয়, বিশ্বের মানুষের কাছেও তিনি দীর্ঘদিন স্মরণে থাকবেন।”

ব্র্যাকের গভর্নিং বডির চেয়ারপার্সন হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, “মানুষকে কেন্দ্রে রেখেই স্যার ফজলে হাসান আবেদ যে কোনো উন্নয়ন চিন্তা করতেন। মানুষের দিকটিই মৌলিক হিসেবে ছিল তার উন্নয়ন চিন্তায়। আর এই উন্নয়নচিন্তার ফলাফলকে টেকসই করার জন্যই তিনি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্ব দিয়ে গেছেন।”

গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, “অত্যন্ত দূরদর্শী মানুষ ছিলেন আবেদ ভাই। যে কোনো সমস্যা সমাধানে তিনি গবেষণাকে গুরুত্ব দিতেন। তিনি ছিলেন একজন স্বপ্নদ্রষ্টা মানুষ। যেখানে দেখেছেন প্রয়োজন সেখানেই হাত বাড়িয়েছেন তিনি।”

সভাপতির বক্তব্যে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, “ফজলে হাসান আবেদ মানুষের জীবনে পরিবর্তন চেয়েছেন। সেই পরিবর্তন ছিল মানুষের জীবনমানের গুণগত পরিবর্তন। যা তিনি করতে চেয়েছেন, তিনি তা করেছেন। শুধু স্বপ্ন দেখেই থেমে যাননি, সেটা বাস্তবায়নের জন্য জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত কাজ করে গেছেন।”

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপ-উপাচার্য সালেহউদ্দীন আহমেদ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদ।