পূজা এড়িয়ে ভোটের দিন রাখতে ঢাবি শিক্ষক সমিতির আহ্বান

সরস্বতী পূজার জন্য ভোটের দিন বদলের দাবিতে শিক্ষার্থীদে বিক্ষোভের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ পুনঃনির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2020, 05:52 PM
Updated : 16 Jan 2020, 05:52 PM

বৃহস্পতিবার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, “পূজা উৎসবের দিনে ঢাকার দুটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হওয়ায় সনাতন ধর্মালম্বীদের মনে আঘাত হেনেছে এবং সর্বস্তরের মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ারও সৃষ্টি হয়েছে।

“অন্যদিকে ইতোপূর্বের ন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে বিধায় নির্বাচনী কার্যক্রম এবং পূজা প্রতিপালন কোনোটিই সুষ্ঠুভাবে পালন করা সম্ভব নয়, এহেন পরিস্থিতিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।”

এদিকে ভোটের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাতেও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসার সময়ই তারা বলেছিলেন, দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তারা।

অনশনে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষকও অংশ নিয়েছেন। শিক্ষকরা হলেন, জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিহির লাল সাহা, সাবেক প্রাধ্যক্ষ ও সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক অসীম সরকার, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন, সংস্কৃত বিভাগের চেয়ারপার্সন নমীতা মন্ডল, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রতন চন্দ্র ঘোষ।

এছাড়াও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ওয়াহেদুজ্জামান চাঁন, ডাকসুর সদস্য রাইসা নাসের, মাহমুদুল হাসানসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন হলের নেতা অনশনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।

অনশনে অংশ নেওয়া জগন্নাথ হল সংসদের ভিপি উৎপল বিশ্বাস বলেন, “একই সঙ্গে পূজা ও নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে এই পূজা উৎসবকে ছোট করে দেখা হয়েছে। নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন না করা হলে ধরে নেব, এদেশে ধর্মের কোনো স্বাধীনতা নেই। আর যে দেশে ধর্মের স্বাধীনতা নেই, সে দেশ অসাম্প্রদায়িক নয় বলে আমরা মনে করি।”