বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
সরস্বতী পূজার মধ্যে ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট থাকায় তার বিরোধিতা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সংগঠন। ভোটের তারিখ পরিবর্তনের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীদের কয়েকজন।
এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন সচিব সাংবাদিকদের বলেন, “পূজা কিন্তু নির্বাচনের দিন নয়। ছাত্রদের অনুরোধ করব, তারা যেন কোনো বিভ্রান্তির কবলে পড়ে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে, লেখাপড়ায় মনোযোগ দেয়।
সচিব জানান, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে কোন কোন ভোটকেন্দ্রে পূজা উদযাপন হয়ে থাকে তার খসড়া তালিকা সংগ্রহ করেছেন তারা।
এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এসব জায়গায় এক পাশে ভোট ও অন্য পাশে পূজা উদযাপনে কোনো অসুবিধা হবে না।”
পূজাপ্রাঙ্গণে অর্ধশতাধিক ভোট কেন্দ্র
ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম ও দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন জানান, পূজা উদযাপিত হয়ে থাকে এ রকম প্রতিষ্ঠানে ৭৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ১ হাজার ৩১৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ১ হাজার ১৫০টি কেন্দ্রের ২৬টিতে পূজা হয়ে থাকে।
ইসি সচিব আলমগীর বলেন, “খসড়া তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে, তথ্য নেওয়া হয়েছে পূজা তারা কোথায় করে। যেমন অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয়ে কথা বলা হয়েছে- এটা তারা করে তাদের অডিটোরিয়ামে। এটা বেশ বড় স্কুল, তাই সব রুম নির্বাচনের জন্য লাগবেও না। পূজার জন্য তো লাগবেই না।
“পূজা যেদিকে হবে, তার থেকে দূরত্ব রেখেই ভোটকেন্দ্র করা হবে। যেন নির্বাচনের জন্য পূজার সমস্যা না হয়, আর পূজার জন্য নির্বাচনের সমস্যা না হয়। স্কুল বা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, এটা নিয়ে সমস্যা নেই।”
পূজার দিন ‘নির্বাচন হচ্ছে না’ দাবি করে সচিব বলেন, “পূজা ২৯ জানুয়ারি। হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকের সঙ্গেই কথা হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেন, পূজা ৩০ জানুয়ারি সকাল ১১টা পর্যন্ত লগ্ন রয়েছে। পূজার দিন কিন্তু নির্বাচনের দিন নয়।”