এসএসসির এক মাস কোচিং সেন্টার বন্ধ

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর সাত দিন আগ থেকে শেষ পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2020, 09:13 AM
Updated : 16 Jan 2020, 11:36 AM

মাধ্যমিক পরীক্ষা সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, “আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।”

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা হবে। এ বছর তিন হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পর্যায়ের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেবে।

প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে গতবছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার।

সে সময় বলা হয়, বিভিন্ন কোচিং সেন্টারকে কেন্দ্র করে প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতচক্র সক্রিয়। এ কারণেই পরীক্ষার মাসে এসব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে হবে।

পাবলিক পরীক্ষার সময় সব ধরনের কোচিং বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে দীপু মনি বলেন, “অনেক রকমের কোচিং আছে। ও লেভেলে, এ লেভেল, আইইএলটিএস, বিসিএস, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং আছে। এগুলো যদি একেবারে আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠান হত তাহলে বন্ধ করাটা অনেক সহজ হত।

“অধিকাংশ ক্ষেত্রে একই ছাদের নিচে একই প্রতিষ্ঠানে নানান রকম কোচিং কিন্তু হয়। সে কারণে আমাদের একটু হাত-পা বাঁধা হয়ে যায়। আমরা যদি কাউকে বাদ রাখার চেষ্টা করি… কিছু অসাধু প্রতিষ্ঠানের কারণে কোচিং বন্ধ করতে হচ্ছে।”

শিক্ষামন্ত্রীর ভাষ্য, “কোচিংয়ের চেহারার মধ্য থেকে প্রশ্ন ফাঁস করার অপচেষ্টা থেকে শুরু করে নকল সরবরাহ করার নানান রকম অপকর্মের সঙ্গে তারা যুক্ত ছিলেন প্রমাণিত হওয়ার কারণেই আমাদের এই পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। সে কারণে যারা জড়িত না, তাদেরও এর মধ্যে চলে আসতে হচ্ছে, কারণ আমাদের এটিকে আলাদা করার কোনো সুযোগ থাকে না।”

এবার প্রশ্ন ফাঁসরোধে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সব মহলকে গুজবে কান না দিতে অনুরোধ করেন শিক্ষামন্ত্রী।                         

তিনি বলেন, “অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানাব, কোনোভাবেই কেউ যেন প্রশ্ন ফাঁসের গুজবে কান না দেন। কিছু প্রতারক চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব রটনা করে, মানুষের সাথে প্রতারণা করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে।”

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ ছাড়াও জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।