পূজার দিনে ভোট: এবার আপিল বিভাগে আবেদন

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ বদলানোর আবেদন হাই কোর্টে খারিজ হয়ে যাওয়ার পর এবার আপিল বিভাগে আবেদন হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2020, 07:48 AM
Updated : 16 Jan 2020, 08:17 AM

রিটকারী আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে এই আবেদন করেন। সেখানে ৩০ জানুয়ারির নির্বাচন স্থগিত চাওয়া হয়েছে। 

আগামী রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ওই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

৩০ জানুয়ারি ভোটের তারিখ রেখে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী প্রার্থীরা প্রচারও চালিয়ে যাচ্ছেন।

কিন্তু ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা থাকায় ভোটের তারিখ পরিবর্তনের জন্য হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ। তার যুক্তি ছিল, ইসির ঘোষিত নির্বাচনের তারিখ সংবিধানে বর্ণিত প্রত্যেক নাগরিকের ধর্ম পালনের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সঙ্গে ‘সাংঘর্ষিক’।

শুনানি শেষে মঙ্গলবার ওই আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেয় বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ।

আদেশে বলা হয়, “শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৯ জানুয়ারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে। সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডারেও ২৯ তারিখ ছুটির কথা বলা আছে। আর নির্বাচন কমিশন ৩০ তারিখ ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছে। তার দু’দিন পর এসএসসি পরীক্ষা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভোটের তারিখ পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।”

আবেদনকারী অশোক ঘোষ বলছেন, সরস্বতী পূজা শুরু হয় মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথি থেকে। তিথি শেষ হওয়ার আগে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যায় না। পঞ্জিক অনুযায়ী পঞ্চমী তিথি শুরু হবে ২৯ জানুয়ারি সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে। শেষ হবে ৩০ জানুয়ারি বেলা ১১টায়।

আর নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার অন্তত ১৫ দিন পরে নির্বাচন করতে হয়। সে অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারির আগেও ভোট করার সুযোগ রয়েছে বলে যুক্তি দেন এই আইনজীবী।

তিনি বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র হবে। এ কারণে দুই দিন আগে থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে, যানবাহন চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে বা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ৩০ তারিখ নির্বাচন হলে পূজাটা আমরা কীভাবে করব!”

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদও ভোটের তারিখ পরিবর্তনের অনুরোধ জানিয়েছিল ইসির কাছে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী গত কয়েক দিন ধরেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে একই দাবি জানিয়ে আসছে।

তবে তাতে সাড়া না দিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর বুধবারও সাংবাদিকদের বলেছেন, ভোটের জন্য ৩০ জানুয়ারিই ‘উপযুক্ত’ সময়। এ তারিখ আগানো বা পেছানোর সুযোগ নেই।

“সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা। তো একদিনই সময় আছে ৩০ তারিখ নির্বাচন করা যায়।… মহামান্য আদালত নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত তারিখকে যুক্তিযুক্ত মনে করেছেন।”

আরও খবর -