২১ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে ইসির ৫৮তম সভা হবে। মার্চ মাসে ভোট করার লক্ষ্যে ওই সভায় সার্বিক প্রস্তুতি তুলে ধরবেন ইসি কর্মকর্তারা।
বুধবার ইসির উপ সচিব মো. শাহেদুন্নবী স্বাক্ষরিত সভার নোটিসে বলা হয়েছে, আরপিওর খসড়া চূড়ান্ত করা; গাইবান্ধা-৩, ঢাকা-১০ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপ নির্বাচন; চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের প্রস্তুতি, ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য খসড়া চূড়ান্ত করার তারিখ নির্ধারণের বিষয়টি কমিশনের সভার আলোচ্যসূচিতে থাকছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন মার্চে হতে পারে বলে ইতোমধ্যে আভাস দিয়েছেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা।
তিনি বলেছেন, “আমার ধারণা মার্চ মাস হবে নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময়। এপ্রিল মাসে রমজান আছে। মার্চ মাসে সম্ভবত পরীক্ষা বা অন্য কিছু নেই।”
সংসদীয় আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে মার্চের মধ্যেই তিনটি উপ নির্বাচন করতে হবে কমিশনকে।
গাইবান্ধা- ৩ ( সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইউনুস আলী সরকার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গত ২৭ ডিসেম্বর।
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে ২৯ ডিসেম্বর শেখ ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করলে ঢাকা-১০ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।
এরপর ১০ জানুয়ারি মারা যান বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মোজাম্মেল হোসেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, মুজিববর্ষ শুরু হচ্ছে ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, আর এপ্রিলজুড়ে এইচএসসি পরীক্ষা- এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ভোটের তারিখ নির্ধারণ বসবে কমিশন।
২০১৫ সালে ঢাকার দুই সিটির সঙ্গে নির্বাচন হলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নতুন পর্ষদের দায়িত্ব পালন পরে শুরু হয়েছিল। সেজন্য ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে ১৮০ দিন গণনা শুরু হবে। চট্টগ্রাম সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের জুলাইয়ে।