ঈদের মধ্যে ভোট হলেও খারাপ লাগত: ইশরাক

নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত তারিখ ধরে প্রচার চালালেও সরস্বতী পূজার মধ্যে ভোটগ্রহণ নিয়ে নিজের আপত্তির কথা জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Jan 2020, 12:15 PM
Updated : 15 Jan 2020, 12:29 PM

বুধবার ধানমণ্ডির বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালানোর সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিৎ। মুসলামানদের ঈদের এমন একটি আয়োজন হলে আমাদেরও খারাপ লাগত।”

৩০ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে ইসি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরস্বতী পূজার জন্য ভোট পেছানোর দাবি ওঠে।

কিন্তু ইসির সাড়া না পেয়ে একজন আইনজীবী রিট আবেদন করলেও আদালতও সাড়া না দেওয়ায় ৩০ জানুয়ারিই ভোটের দিন থেকে গেছে। তবে ভোটের দিন বদলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী বুধবার শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে।

ভোটের তারিখ পরিবর্তনের দাবি নির্বাচন কমিশনের বিবেচনায় নেওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করলেও আদালতের আদেশ রয়েছে বলে এনিয়ে আর কিছু বলতে চাননি বিএনপির প্রার্থী।

ইশরাক বলেন, “যেহেতু বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে, তাই এ ব্যাপারটি নিয়ে চূড়ান্ত কোনো মন্তব্য করতে চাই না।”

দুপুরে ধানমণ্ডির ১৮ নম্বর সড়কে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে ধানের শীষের প্রচার  শুরু করেন ইশরাক। ধানমণ্ডি, হাজারীবাগ, ঝিগাতলা, কলাবাগানের বিভিন্ন এলাকায় ও অলি-গলিতে হেঁটে হেঁটে লিফলেট বিলি করে ভোট চান তিনি।

ভোট চাওয়ার সময় এ নারীর শিশু সন্তানকে কোলে তুলে নেন অবিভক্ত ঢাকার সর্বশেষ মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক।

প্রচারের সময় ইশরাকের সঙ্গে ছিলেন বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল, শামসুর  রহমান শিমুল বিশ্বাস, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, ফজলুর রহমান খোকন।

ইশরাক বলেন, “ঢাকা এখন যানজটের নগরী, দূষণের নগরীতে পরিণত হয়েছে। উন্নয়নের নামের ঢাকার ছবিটা কী, আপনারা তা দেখছেন। নাগরিক সেবা বলতে কিছু নেই। আছে জনদুর্ভোগ আর দুর্নীতি।

“এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে ক্ষমতার পরিবর্তন আনতে হবে। নগরবাসী পরিবর্তন চায়। আসুন এই পরিবর্তন নিশ্চিত করতে ভোটের দিন ভোটারদের ভোট কেন্দ্র যেতে হবে। ভোট দিতে হবে পরিবর্তনের জন্য, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য।”

হাজারীবাগে গেলে সেখানে নাগরিকদের দুরবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বাসযোগ্য এলাকা বলা যায় না এটাকে। মনে হয় না এটি ঢাকার একটি অংশ। রাস্তা-ঘাটের কী অবস্থা! আপনারাই বলুন, কী করেছেন ১২ জন যাবৎ সিটি মেয়ররা।”

নির্বাচনী প্রচারে সব প্রার্থী সমান সুযোগ পাচ্ছে না অভিযোগ করে ইশরাক বলেন, “অনেক জায়গায় ধানের শীষের পোস্টার লাগাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। যেখানে লাগানো হচ্ছে, দেখা যাচ্ছে কিছুক্ষণের মধ্যে তা ছিড়ে ফেলছে সরকারি দলের লোকজন। আমরা নির্বাচন কমিশনকে এগুলো নিয়ে অনেক অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু তারা কর্ণপাতই করছে না।

“এভাবে কি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে? এটাকে তো নিরপেক্ষ নির্বাচন বলা যাবে না। তারপরেও আমরা শেষ রক্ত থাকা পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, ভোটের অধিকার ফিরে পাবার জন্যে লড়াই করব, সংগ্রাম করব। যে কোনো পরিস্থিতি আমরা মোকাবেলা করতে প্রস্তুত আছি।”

বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সংগঠিত থাকার আহবানও জানান ইশরাক।