ছাত্রদের অবরোধে ‘বিরক্ত’, রিভলভার বের করে মারধরের কবলে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড়ে আটকা পড়া এক ব্যক্তি রিভলভার বের করে পিটুনির শিকার হয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Jan 2020, 10:46 AM
Updated : 16 Jan 2020, 11:03 AM

আলিফ রুশদি হাসান নামের ৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশের রমনা জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার এসএম শামীম জানান।

ঢাকার সিটি ভোটের তারিখ পেছানোর দাবিতে বুধবার দুপুরে শাহবাগ মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অবরোধ চলার সময় এ ঘটনা ঘটে।

ইসি ঘেরাও মিছিল পুলিশ আটকে দিলে শাহবাগ অবরোধ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তখন অবরোধে আটকা পড়া এক ব্যক্তি পিস্তল বের করে পিটুনির শিকার হলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান তার স্ত্রী। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

পুলিশ বলছে, আলিফ রুশদির বাড়ি পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে, বাবার নাম মোসলেহ উদ্দীন। পেশায় ব্যবসায়ী আলিফ রুশদি থাকেন দুবাই। তার ওই রিভলভার লাইসেন্স করা। অনুমোদিত আরেকটি শটগানও তার সঙ্গে পাওয়া গেছে।

বিক্ষোভের খবর সংগ্রহের জন্য সে সময় শাহবাগে থাকা আমাদের প্রতিবেদক ও আলোকচিত্রীরা জানান, বারডেমের সামনে দিয়ে এক ব্যক্তি গাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে ছাত্রদের বাধার মুখে পড়েন।

শাহবাগ মোড়ে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবরোধে আটকা পড়া এক ব্যক্তি পিস্তল বের করে পিটুনির শিকার হন। পরে একজন তার কাছ থেকে পিস্তলটি কেড়ে নেয়। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

কথা কাটাকাটির মধ্যে এক পর্যায়ে তিনি আগ্নেয়াস্ত্র বের করলে ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাকে মারধর শুরু করে। পরে পুলিশ এসে তাকে সরিয়ে নিয়ে যায়।

বিক্ষোভস্থলে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল সংসদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক কাঞ্জিলাল রায় ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লোকটি গাড়ি নিয়ে অবরোধ ভেঙে যেতে চাচ্ছিল। শিক্ষার্থীরা বাধা দিলে সে অস্ত্র বের করে একজন শিক্ষার্থীর বুকে তাক করে। শিক্ষার্থীরা তখন ক্ষুব্ধ হয়ে মারধর শুরু করে।”

শাহবাগ মোড়ে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবরোধে আটকা পড়া এক ব্যক্তি পিস্তল বের করে পিটুনির শিকার হওয়ার পর তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

রমনা জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার এসএম শামীম পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনি (আলিফ রুশদি হাসান) স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গাড়ি করে যাচ্ছিলেন। শাহবাগ মোড়ে যানজটে আটকা পড়ে বিরক্ত হয়ে লাইসেন্স করা অস্ত্র নিয়ে গাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। তখন শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করেছে।”

আলিফ রুশদির কোনো রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি না, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।