সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়, ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস

মাঘ মাসের শুরু হচ্ছে বুধবার, শীত মওসুমের এই সময়ে কুয়াশা ও ঠাণ্ডার তীব্রতা রয়েছে দেশের সবখানে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2020, 05:31 PM
Updated : 14 Jan 2020, 05:35 PM

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বুধবার থেকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে। আরও চার-পাঁচ দিন ধরে তা অব্যাহত থাকবে।

৩০ পৌষ মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিন যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, “চলমান শৈত্যপ্রবাহ দুয়েকদিন অব্যাহত থাকবে উত্তরাঞ্চলে। শীতের তীব্রতাও কমে আসবে। শুক্রবার থেকে কুয়াশা ও শীতের দাপট কমার সম্ভাবনা রয়েছে।”

জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি ও দীর্ঘসময় ধরে বাতাস থাকায় কয়েক দিন ধরে শীতের দাপট দেখা গেছে রাজধানীসহ সর্বত্র।

ওমর ফারুক বলেন, “তাপমাত্রা কমলে বিকালেও কুয়াশা দেখা যায় সবখানে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে দাপট থাকে বেশি। তবে বুধবার থেকে তাপমাত্রা বাড়বে। ১৬ জানুয়ারির পর অর্থাৎ শুক্রবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। বিভিন্ন স্থানে শৈত্যপ্রবাহও কেটে যাবে আশা করছি।”

বাংলাদেশে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীত মৌসুম ধরা হয়। তবে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বাংলা পঞ্জিকার মাঘ মাসের শুরুতে বরাবরই শীতের তীব্রতা বাড়ে।

এবারের শীত মৌসুমে ডিসেম্বরের শেষার্ধে দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেও ছিল এক দফা শৈত্যপ্রবাহ। এখন চলছে তৃতীয় দফা শৈত্যপ্রবাহ।

এ মাসের শেষ সপ্তাহে আরেকটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

গত ২৯ ডিসেম্বর তেঁতুলিয়ায় থার্মোমিটারের পারদ নেমেছিল ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ মৌসুমে এটাই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আর নতুন বছরের শুরুতে ৭ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা কম থাকলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরা হয়। থার্মোমিটারের পারদ ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর পারদ ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরনিচে নেমে গেলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে বলে ধরা হয়।

জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা অনেকাংশে কমে আসে। এর কারণে সামনের পথচারী ও বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় না। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।

এ অবস্থায় বাস্ট্যান্ডে অবস্থানরত ও মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহনের চালকদের কুয়াশাচ্ছন্ন রাস্তায় ফগলাইট ব্যবহার ও গতিসীমা সীমিত রেখে বেশি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।