উন্নয়নের কারণে গ্রামের ছেলেরা এখন বেশি ‘স্মার্ট’: তথ্যমন্ত্রী

বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরতে গিয়ে গ্রাম ও শহরের ছেলের মধ্যে ‘স্মার্টনেস’র তুলনা দেখিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Jan 2020, 05:06 PM
Updated : 7 Jan 2020, 05:06 PM

তিনি বলছেন, এখন অনেক ক্ষেত্রে শহরের ছেলেদের তুলনায় গ্রামের ছেলে অনেক ‘বেশি স্মার্ট’।

বর্তমান সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, গত এক বছরে তার চেয়ে বেশি অর্জিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।

হাছান মাহমুদ বলেন, “আমরা ২০০৮ সালে দুটি স্লোগান দিয়েছিলাম- একটি হচ্ছে দিনবদল আরেকটি হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্য অর্জন আমরা অনেক আগেই করতে সক্ষম হয়েছি।

“দিন বদল হয়েছে। এখন ‘ভাত দেন মা আমাকে’ সেই ডাক শোনা যায় না। আমরা ক্ষুধাকে জয় করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশে ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ সহজে দেখা যায় না। খালি পায়ে মানুষ সহজে দেখা যায় না।”

তিনি বলেন, “গত নির্বাচনে আমরা স্লোগান দিয়েছিলাম- তারুণ্যই শক্তি, তারুণ্যেই সমৃদ্ধি। আরেকটি স্লোগান দিয়েছিলাম- গ্রাম হবে শহর। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।

“ইতোমধ্যেই বেশিরভাগ গ্রামের মানুষ শহরের প্রায় সব সুবিধা পাচ্ছে। গ্রামে এখন ফ্রিজ আছে, টেলিভিশন আছে, কেবল নেটওয়ার্ক আছে।

“গ্রাম আর শহরের ছেলের মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায় না। আজ থেকে ১৫ বছর আগে কোনটি গ্রামের ছেলে কোনটি শহরের ছেলে বোঝা যেত। এখন দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে শহরের ছেলেদের তুলনায় গ্রামের ছেলে অনেক বেশি স্মার্ট।”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলছে। সেই অভিযাত্রায় বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।

মতবিনিময়কালে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন হাছান মাহমুদ।

মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে সমন্বয় করতে চাপ অনুভব করেন কি না- সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা যে সরকারে আছি সেটা হচ্ছে দলের সরকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার। সরকার ও দলের মধ্যে সমন্বয় থাকা প্রয়োজন, সেই কাজটি আমি দুই দায়িত্বে থাকার কারণে আমার পক্ষে করা সহজ হচ্ছে।”

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা নিয়ে এক প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপি তো সবসময় প্রযুক্তির বিরোধিতা করে। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া যখন সরকার গঠন করেছেন তখন বাংলাদেশকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিনামূল্যে সাবমেরিন কেবল স্থাপনের। বাংলাদেশের তথ্য পাচার হয়ে যাবে সেই কথা বলে তিনি সাবমেরিন স্থাপন করার অনুমতি দেননি। যেটি পরবর্তী সময়ে হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করে আমাদের স্থাপন করতে হয়েছে।

“পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে ইভিএমে ভোট হচ্ছে, সেই নিয়ে মোটামুটি সব পক্ষ সন্তুষ্ট। যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইভিএমে ভোট হয় সেখানে ইভিএমের বিরোধিতা তারা কেন করছেন, এটির কোনো সদুত্তর আমি খুঁজে পাচ্ছি না।

“একটি সদুত্তর পাই, আমি সেটি হচ্ছে তারা যে অতীত থেকে প্রযুক্তির বিরোধিতা করে আসছে, সেটির ধারাবাহিকতা হচ্ছে ইভিএমের ভোট গ্রহণের বিরোধিতা করা। ব্যালটে ভোট হলেও তারা নানা অভিযোগ উপস্থাপন করেন। মূল কথা হচ্ছে, তারা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তারা বুঝতে পেরেছে জনগণ তাদের সঙ্গে নেই।”