মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন দেয়।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আউয়াল ও তার স্ত্রীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আওসাফুর রহমান বুলু।
খুরশীদ আলম খান পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তাদের বরিশাল বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।”
জালিয়াতি করে খাস জমি লিজ নিয়ে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে এ কে এম আউয়ালে বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বরিশালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর গত ৩০ ডিসেম্বর মামলাগুলো করেন।
আউয়ালের বিরুদ্ধে এক মামলায় অভিযোগ করা হয়, অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যহারের করে ছয়জন ভুয়া ব্যক্তিকে ভূমিহীন দেখিয়ে সরকারি খাস জায়গা লিজ নিয়েছেন। লিজ নেওয়া জমি স্ত্রীর মালিকানা দেখিয়ে সেখানে তিনতলা ভবন নির্মাণ করেন। ভবনটি পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
এই অভিযোগে আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় একটি মামলা করা হয়।
একই প্রক্রিয়ায় পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলা ডাকবাংলোর কাছে সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে আধুনিক ডাকবাংলো নির্মাণের অভিযোগে আউয়ালের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়।
আউয়ালের বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলাটি করা হয় পিরোজপুর শহরের খুমুরিয়া এলাকার রাজারপুকুর নামে পরিচিত জায়গায় ৪৪ শতক সরকারি খাস জমি ঘিরে দেয়াল নির্মাণ করে দখলে রাখার অভিযোগে।
এর আগে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর এসব মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয় দুদক।
তার আগে গত ১১ জুলাই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আউয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
পিরোজপুর-১ আসন থেকে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পরপর দুইবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য হন আউয়াল।