ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাস্থল ‘শনাক্ত’

রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের প্রান্তে সড়কের পাশের জায়গাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাস্থল হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Jan 2020, 12:22 PM
Updated : 6 Jan 2020, 02:02 PM

ওই জায়গা থেকে নির্যাতিত মেয়েটির ওড়না ও স্যান্ডেলসহ ব্যবহার্য জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে ডিএমপির গুলশান বিভাগের পুলিশের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “জায়গাটি অতটা নির্জন না হলেও একটি বড় গাছের আড়ালে সামান্য ঝোপ রয়েছে।”

সন্ধ্যা রাতের আঁধারে সেখানেই ওই ছাত্রীটির ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে ধারণা করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী রোববার সন্ধ্যায় তার বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে শেওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পরপরই তিনি আক্রান্ত হন। রাত পৌনে ১টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।

ওই শিক্ষার্থীর বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, “সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাস থেকে নামার পরপরই অজ্ঞাতপরিচয় কোনো লোক তার মুখ চেপে ধরে এবং পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তিনি চেতনা হারান।”

কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনাস্থল থেকে সোমবার দুপুরে আলামত সংগ্রহ করে সিআইডি।

রাত ১০টার দিকে চেতনা ফিরলে ওই শিক্ষার্থী একটি অটোরিকশা নিয়ে বান্ধবীর বাসায় যান এবং তাকে পুরো ঘটনা বলেন। এরপর সহপাঠীরা তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়।

ওই ছাত্রীর বাবা সোমবার সকালে ক্যান্টনমেন্ট থানায় অজ্ঞাতপরিচয় একজনকে আসামি করে মামলা করেছেন বলে ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি ওসি কাজী শাহান হক জানান।

ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামতের সঙ্গে মেয়েটির গলা, হাত, গালসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

ডিসি সুদীপ কুমার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ওই শিক্ষার্থীর এক জোড়া স্যান্ডেল ও ওড়না, একটি ইনহেলার, ঘড়ি, ‘ক্লাসের নোটবুক’, চাবির রিং ও প্যান্টসহ বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘটনার ফরেনসিক নমুনা সিআইডি সংগ্রহ করে বাকিটুকু মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে রাখা হয়েছে। এসব আলামতের মধ্যে কোনটি আসামির কোনটি ভিকটিমের তা তদন্তে নির্ধারিত হবে।”

তবে পুলিশ কর্মকর্তা সুদীপের ভাষ্যমতে, ওসব জিনিসপত্রের মধ্যে অন্য কারো কিছু নেই।