ভোট পর্যন্ত ভিজিডি ও ভিজিএফ কার্ড দেওয়া এবং ত্রাণ বিতরণও স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে।
শনিবার স্থানীয় সরকার বিভাগ, খাদ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন আচরণবিধি যথাযথভাবে অনুসরণে ইসির উপ সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এসব চিঠি আলাদা আলাদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, অনুদান, ভিজিডি, কাবিখা, ত্রাণ, উন্নয়নমূলক প্রকল্প অনুমোদন না করার নির্দেশ রয়েছে। তবে আগের প্রকল্পে অর্থ ছাড় বা অর্থ দেওয়ায় নিতান্ত আবশ্যক হলে জরুরি ভিত্তিতে ইসির সম্মতি নিতে হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, উন্নয়নমূলক প্রকল্প, অর্থছাড়, বিভিন্ন কার্ড বিতরণে ভোটাররা প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কায় বিধিতে ভোটের সময় এসব বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া রয়েছে। নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতেই এ উদ্যোগ।
প্রকল্প অনুমোদন, ফলক উম্মোচনে বাধা
স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনপূর্ব সময়ে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উম্মোচন করা যাবে না।
সরকারি সুবিধাভোগী ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা’ এসব প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান, বরাদ্দ বা অর্থ ছাড় করতে পারবেন না।
পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের মেয়র বা কাউন্সিলর বা অন্য কোনো পদাধিকারী এই সময়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্প অনুমোদন বা ইতোপূর্বে অনুমোদিত কোনো প্রকল্পে অর্থ ছাড় করতে পারবেন না।
চাঁদা-অনুদান নয়
তফসিল ঘোষণা থেকে নির্বাচনের ফল গেজেটে প্রকাশ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী বা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন এলাকায় অবস্থিত কোন প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনও প্রকার চাঁদা বা অনুদান দিতে অঙ্গীকার করতে পারবেন না। এ বিধিমালার বিধান লংঘন দণ্ডনীয় অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে।
ভিজিএফ কার্ড ও ত্রাণ বিতরণ স্থগিত, তবে…
নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখার লক্ষ্যে ইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় নতুন ভিজিডি কার্ড ইস্যু কার্যক্রমসহ নতুন ধরনের কোনো প্রকার অনুদান/ত্রাণ বিতরণ করা যাবে না।
তবে যেসব ত্রাণ কার্যক্রম আগে থেকে চলমান রয়েছে তা চালু থাকবে বলে চিঠিতে বলা হয়।
প্রয়োজনে ইসির সম্মতি নিতে হবে
চিঠিতে বলা হয়, ভোটের সময়ে সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকায় নতুন ভিজিডি কার্ড ইস্যুসহ নতুন ধরনের কোন প্রকার অনুদান/ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে ইসি।
তবে নতুন কার্যক্রম নিতে আবশ্যক হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনের সম্মতি নিতে হবে।
৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার।
দুই সিটি মিলে মেয়র পদে ১৩ জনের সঙ্গে সহস্রাধিক কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। এখন ১০ জানুয়ারি প্রার্থীদের জন্য প্রতীক বরাদ্দ নেওয়ার পালা। তারপর প্রচার শেষে ৩০ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ।