সারা দেশে সংস্কৃতি চর্চা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলায় একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে বলে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ জানিয়েছেন।
Published : 03 Jan 2020, 11:20 PM
শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পকলায় ২১ দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সারা দেশে সংস্কৃতি চর্চাকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ভীষণভাবে কাজ করছে। এই অনুষ্ঠানের পর আমাদের প্রতিটিটি জেলায় সাংস্কৃতিক উৎসব হবে এবং সর্বশেষ ঢাকায় সাংস্কৃতিক উৎসব হবে। এই উৎসবগুলোতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সহায়তা করবে এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকা করবে। সেগুলোতে জেলার প্রত্যেকটি উপজেলার সংস্কৃতিকর্মীরা অংশগ্রহণ করবে।
ফেব্রুয়ারি থেকেই এই সব উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি উপজেলায় একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
“এছাড়াও সিডনি অপেরা হাউজের আদলে ঢাকায় একটি অপেরা হাউজ নির্মাণের নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সংস্কৃতির সকল শাখা থাকবে। শিল্প, সাহিত্য, নৃত্য, কবিতা, গান, নাটক সব কিছু থাকবে।”
প্রায় আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে হাতিরঝিলে এই অপেরা হাউজ নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সংস্কৃতির ধারাকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যে কোনো উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পাশে থাকবে তার মন্ত্রণালয়।
২১ দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব’
৬৪ জেলা, ৬৪ উপজেলা এবং জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও সংগঠনের অংশগ্রহণে ৩ থেকে ২৩ জানুয়ারি ২১ দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব’ আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ ও নন্দন মঞ্চে এই উৎসব হবে।
উৎসবে প্রতিদিন তিনটি জেলা, তিনটি উপজেলা এবং জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও সংগঠনের পরিবেশনা থাকবে। এছাড়াও একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে একটি লোকনাট্য পরিবেশিত হবে।
একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং একাডেমির সচিব মো. বদরুল আলম ভূঁইয়া।