বৃহস্পতিবার ঢাকার এক নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান আসামি হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আগামী ৮ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রাখেন।
ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি এমএ বারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, হারুনের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে দাঁড়াননি। তার পক্ষে কোনো অব্যাহতির আবেদনও করা হয়নি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, রঙের দোকানের কর্মচারী হারুন ধর্ষণের পর শিশুটির গলায় শক্ত পাটের রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
ওয়ারিতে যে ভবনে সায়মা তার বাবা-মার সঙ্গে থাকত, ওই ভবনের আরেকটি ফ্ল্যাটে অতিথি হয়ে এসেছিলেন হারুন। তার খালাত ভাই পারভেজের বাসায় প্রায় দুমাস ধরে থাকছিলেন হারুন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, গতবছরের ৫ জুলাই সন্ধ্যায় পারভেজের ছোট ছেলের সঙ্গে খেলতে ওই বাসায় এসেছিল সায়মা। তখন হারুন ছাদ দেখানোর কথা বলে তাকে ভবনের নবম তলার একটি খালি ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করেন।
এ ঘটনায় সায়মার বাবা আব্দুস সালাম পরদিন ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ৭ জুলাই কুমিল্লার ডাবরডাঙা এলাকা থেকে আসামি হারুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন হারুন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
গত বছর ৫ নভেম্বর এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ওয়ারী জোনাল টিমের পরিদর্শক মোহাম্মদ আরজুন। এরপর ২০ নভেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে মামলাটি বিচারের জন্য এক নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।