বিটিআরসি থেকে এ বিষয়ে চিঠি পাওয়ার পর বুধবার সীমান্ত এলাকায় নেটওয়ার্ক চালু করতে কাজ শুরু করেছে দেশের চার অপারেটর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সীমান্ত এলাকায় নেটওয়ার্ক বন্ধে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, বুধবার থেকে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।”
এর আগে গত রোববার রাতে বিটিআরসির নির্দেশনা পেয়ে সীমান্ত এলাকায় নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয় দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো।
তাতে চার অপারেটরের প্রায় দুই হাজার বিটিএস বন্ধ করতে হয়েছে জানিয়ে একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, এই পদক্ষেপের ফলে সমস্যায় পড়বে সীমান্ত এলাকার প্রায় কোটি গ্রাহক।
নতুন নির্দেশনা আসার পর অপারেটর রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিটিআরসির নির্দেশনা অনুসারে আমরা ইতোমধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকার বিটিএস সচল করার কাজ শুরু করেছি। যেহেতু এখানে অনেক বিটিএস জড়িত, সবগুলো একই সময়ে চালু করতে হয়ত একটু সময় লাগতে পারে।”
সীমান্তে নেটওয়ার্ক বন্ধের কারণ বা দুই দিনের মাথায় তা প্রত্যাহারের বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
নেটওয়ার্ক বন্ধের কারণ জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “নিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে বিটিআরসি এ নির্দেশনা দিয়েছে।”
তবে নাম প্রকাশ না করে দুই কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, নাগরিকত্ব আইন সংশোধন নিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশমুখী অনুপ্রবেশ বেড়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই সীমান্তে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধের সিদ্ধান্ত এসেছিল।