নতুন বছরের প্রথম দিন বুধবার দিয়াবাড়িতে এমআরটি-৬ লাইনের বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন ও রেল-ট্র্যাক বসানোর কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই আশার কথা শোনান তিনি।
কাদের বলেন, এমআরটি লাইন ১ ও এমআরটি লাইন ৫ এর ডিপিপি অনুমোদন হয়ে গেছে, ফলে কাজ শুরু করতে আর কোনো বাধা নেই।
মেট্রো রেলের এই দুই লাইনের মধ্যে একটিতে ১৬ কিলোমিটার, অন্যটিতে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার অংশ পাতাল রেল হবে বলেও জানান সড়ক পরিবহন মন্ত্রী।
কাদের বলেন, “আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা এমআরটির সব কটি লাইন যখন চালু হয়ে যাবে, যানজটের দৃশ্যপট বদলে যাবে।”
এমআরটি-৬ লাইনের বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন ও রেল-ট্র্যাক বসানোর কাজের উদ্বোধন করে মন্ত্রী জানান, “আজকে আমি আনন্দের সঙ্গে বলছি, আমাদের এমআরটি লাইন ৬ মেট্রোরেল প্রকল্পের সাড়ে ৮ কিলোমিটার এখন দৃশ্যমান।”
২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মেট্রোরেল প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের কাজ শেষ করে মেট্রোরেল চলাচল শুরুর জন্য কয়েক দফা সময় নির্ধারণ করা হয়। এখন ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মেট্রোরেল চালু করা যাবে বলে আশা করছেন মন্ত্রী।
ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কর্মকর্তারা জানান, মেট্রোরেলের নমুনা এ মাসেই দেশে আসবে। মেট্রোরেল নিয়ে নগরবাসীকে ধারণা দিতে উত্তরার দিয়াবাড়ীতে মেট্রোরেল ডিপোতে এ নমুনা ট্রেন স্থাপন করা হবে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশে ইতিপূর্বে কোনো মেট্রোরেল ছিল না। টিকেট কাটা, ট্রেনে চড়া, দাঁড়ানো, নামা, ট্রেনের ভেতরে এবং স্টেশনের নির্দেশিকাগুলো কেমন থাকবে- এসব বিষয়ে মানুষকে ধারণা দিতেই এমআরটি তথ্য ও প্রদর্শনীকেন্দ্রে এটা থাকবে।”
মূল ট্রেনের প্রথম সেট আসবে এ বছরের ১৫ জুনে। উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল-৬ বাস্তবায়নে খরচ হচ্ছে ২২ হাজার কোটি টাকা।