সোমবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বরিশালে কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর বাদী হয়ে মামলাগুলো করেন বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
“তিন মামলার একটিতে সাবেক এই সাংসদের সঙ্গে তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকেও আসামি করা হয়েছে।”
আউয়ালের বিরুদ্ধে এক মামলায় অভিযোগ করা হয়, তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যহারের মাধ্যমে ছয়জন ভুয়া ব্যক্তিকে ভূমিহীন দেখিয়ে সরকারি খাস জায়গা লিজ নিয়ে স্ত্রীর মালিকানা দেখিয়ে সেখানে তিনতলা ভবন নির্মাণ করেন। ভবনটি পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
এই অভিযোগে আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় একটি মামলা করা হয় বলে জানান প্রণব।
একই প্রক্রিয়ায় পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলা ডাকবাংলোর কাছে সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে আধুনিক ডাকবাংলো নির্মাণের অভিযোগে আউয়ালের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়।
আউয়ালের বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলাটি করা হয় পিরোজপুর শহরের খুমুরিয়া এলাকার রাজারপুকুর নামে পরিচিত জায়গায় ৪৪ শতক সরকারি খাস জমি ঘিরে দেয়াল নির্মাণ করে দখলে রাখার অভিযোগে।
এর আগে ২৩ ডিসেম্বর এসব মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয় দুদক।
গত ১১ জুলাই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আউয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
পিরোজপুর-১ আসন থেকে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পরপর দুইবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য হন আউয়াল।