থার্টি ফার্স্ট নাইটে বর্ষবরণ উদযাপনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, মঙ্গলবার রাত ৮টার পরে হাতিরঝিল এলাকায় জনসাধারণের অবস্থান করা যাবে না। থার্টি ফার্স্ট নাইটের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কূটনৈতিক পাড়ায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকার বাসিন্দাদের রাত ৮টার মধ্যে এলাকায় ফিরতে অনুরোধ জানান তিনি।
শফিকুল বলেন, “সন্ধ্যা ৬টার পর সকল বার বন্ধ থাকবে। তবে পাঁচ তারকা হোটেল বিধিনিষেধের আওতায় থাকবে না।
“কেউ যাতে মদ বা অ্যালকোহল পান করে জোরে গাড়ি চালাতে না পারে সেজন্য মোড়ে মোড়ে অ্যালকোহল কিট নিয়ে অবস্থান করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং পরীক্ষা করা হবে।”
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রও বহন করা যাবে না বলে ডিএমপি কমিশনার জানান।
নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কোনো ধরনের হুমকি নেই। তবে একটি পক্ষ এই আচার-অনুষ্ঠানকে অবৈধ মনে করে। তাই প্রচ্ছন্ন হুমকি সবসময় থাকে।
“সেজন্য জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই সব সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।”
বিএনপির জনসমাবেশের অনুমতি রয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “অনুমতি দেওয়া হয়নি। কারণ অফিসের দিন রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশের করবে। তাই অনুমতি দেওয়া হয়নি।”
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে বিএনপি। এজন্য সোমবার দুপুর ২টায় নয়া পল্টনের অফিসের সামনেসহ সারা দেশে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল দলটি।