শিশু আয়শাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল প্রতিবেশীর কিশোর ছেলে: পুলিশ

ঢাকার ভাটারায় সাত বছর বয়সী আয়শা আক্তার ইয়াসফাকে তাদের প্রতিবেশীর কিশোর ছেলেই ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2019, 11:45 AM
Updated : 29 Dec 2019, 11:45 AM

ধর্ষণ থেকে বাঁচতে শিশুটি চেষ্টা করার সময় খাটের সঙ্গে আঘাত পায়, তাতেই সে মারা যায় বলে গ্রেপ্তার ওই কিশোর পুলিশের কাছে দাবি করেছে।

ভাটারার বারোবিঘা এলাকার আয়শার লাশ গত ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর তাদের প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ার কক্ষের খাটের নিচে পাওয়া যায়। তারপর থেকে নিখোঁজ ছিল প্রতিবেশীর ওই কিশোর ছেলে।

শনিবার নেত্রকোনায় গ্রেপ্তারের পর রোববার তাকে ঢাকায় আনে ভাটারা থানা পুলিশ।

ভাটারা থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর ধর্ষণ চেষ্টার কথা স্বীকার করেছে।

“সে বলেছে, ঘটনার দিন বিকালে মোবাইলে লুড়ু খেলছিল তারা। হঠাৎ করে সে আয়শাকে ধর্ষণের জন্য হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় গুঁজে দেয়। এক সময় আত্মরক্ষার চেষ্টা করে ছুটে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে আয়শা, কিন্তু খাটের সাথে মাথায় জোরে আঘাত লেগে অচেতন হয়ে যায় সে। তখন তাকে মৃত ভেবে খাটের নিচে রেখে তার উপর সিমেন্টের ব্যাগ রেখে পালিয়ে যায় ওই কিশোর।”

ওই কিশোরের বক্তব্যের সত্যাসত্য যাচাই করা হচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। এছাড়া আয়শার লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায়ও রয়েছে পুলিশ।

বারোবিঘা এলাকার গুডনেইবার নামের একটি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত আয়শা।  তার বাবা ইয়াসিন মোল্লা একজন টেইলার মাস্টার। নিজের টিনশেড বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। তার টিনশেড বাড়ির একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত ওই কিশোরের পরিবার।

ওই কিশোর রাজমিস্ত্রির সহকারি হিসাবে কাজ করত জানিয়ে ওসি বলেন, ঘটনার পর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তার নানাবাড়ি নেত্রকোনা থেকে গ্রেপ্তার করে।