২০১৯: ইসিতে সব ছাপিয়ে এনআইডি জালিয়াতি, নিজেদের দ্বন্দ্ব

সব আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনের (২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত) বৈতরণী পার হলেও বিদায়ী বছরে দুটি ঘটনায় প্রায়ই সংবাদের শিরোনাম হয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঈনুল হক চৌধুরীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Dec 2019, 10:14 AM
Updated : 30 Dec 2019, 10:35 AM

একদিকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে ইসিকর্মীদের জালিয়াতিতে জড়ানো যেমন সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে, অন্যদিকে বিভিন্ন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে মতবিরোধে ‘বিব্রতও’ হতে হয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটিকে।   

ভোট শেষে ‘স্বস্তি’ দেখা গেলেও বছরের বিভিন্ন সময়ে খোদ একজন নির্বাচন কমিশনার ছিলেন সরব।

এবারের নির্বাচনে বেশ কিছু বিষয় নতুন ঘটেছে। এরমধ্যে প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার ৬টি আসনে, নিবন্ধিত সব দলই অংশ নেয় ৩৯টি দল এবং  শতভাগ ভোট পড়ে শতাধিক কেন্দ্রে।

সংসদ নির্বাচনে ‘বেশকিছু কেন্দ্রে’ শতভাগ ভোট পড়া ‘অস্বাভাবিক’ হলেও গেজেট প্রকাশের পর এ নিয়ে কমিশনের কিছু করার নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন সিইসি।

ভোটের ‘অনিয়ম ও নির্লিপ্ততার’ মধ্যে বিরোধী জোটের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়া নিয়েও ছিল সরব।  অনিয়মের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি জানায় নাগরিক সংগঠন সুজন।

প্রার্থীরা সমান সুযোগ না পাওয়ায় ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল টিআইবি। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেন।

প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেছিলেন, এটা অসৌজন্যমূলক বক্তব্য। আর ইসির তৎকালীন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে অপ্রস্তুত করাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেন।

২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে ভোট দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা

 

জাতীয় নির্বাচনের রেশ না কাটতেই ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন হয়। এতে সব দলের অংশগ্রহণ না থাকায় ছিল কমিশনের ‘অস্বস্তি’।

সিইসি বলেছিলেন, “দলগুলো নির্বাচনে অংশ না নেওয়া আমাদের প্রতি অনাস্থা নয়। তবে সব দলের নির্বাচনে অংশ না নেওয়া আমাদের জন্য অস্বস্তিকর।”

মাহবুব তালুকাদার বলেছিলেন, প্রধান বিরোধী দলগুলো না থাকায় এটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নয়। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে তাতে ভোটারদের উৎসাহ দেখা যায় না।

এরপর মার্চে পাঁচ দফায় ভোট হয় উপজেলা পরিষদে। বিএনপির বর্জনের মধ্যে শতাধিক উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ভোট পড়ে গড়ে ৪০%।

উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় সাংসদদের প্রভাব নিয়ে নানা অভিযোগও ছিল।

এরই মধ্যে মার্চে রাঙামাটিতে ভোট শেষে ব্রাশ ফায়ারে ৭ জনের নিহতের ঘটনাও ঘটে।

এমন পরিস্থিতিতে ভোটের ‘জৌলুস ও কৌলিন্য’ হারাচ্ছে মন্তব্য করে মাহবুব তালুকদার বলেন, “এবারের উপজেলা নির্বাচনে সবচেয়ে আশঙ্কার দিক হচ্ছে ভোটারদের নির্বাচনবিমুখতা। একটি গণতান্ত্রিক দেশ ও জাতির জন্য নির্বাচনবিমুখতা অশনি সংকেত। এই নির্বাচন বিমুখতা জাতিকে গভীর খাদের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।”

স্থানীয় সরকারের নির্বাচন ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সংস্কার করে ইসির হাতে আরও ক্ষমতা দেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।

রোহিঙ্গাদের এনআইডি-জালিয়াতি নিয়ে তোলপাড়

এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে শুরু হয় ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ। ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার এক যুগে রোহিঙ্গাদের নিয়ে সব সময় সতর্ক অবস্থানে ছিল ইসি। স্মার্ট কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে সংশ্লিষ্টদের আরও কড়া হুঁশিয়ারি ছিল।

একটি পাসপোর্টের আবেদন যাচাই করতে গিয়ে ধরা পড়ে, ওই রোহিঙ্গা নারী জালিয়াতি করে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন।

 

এরইমধ্যে অগাস্টে এক রোহিঙ্গা নারীর এনআইডি পাওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয় হৈ চৈ। বেরিয়ে আসে টাকার বিনিময়ে কীভাবে জাল এনআইডি পায় রোহিঙ্গারা। দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামও বেরিয়ে আসে। জালিয়াত চক্রের খোঁজে মাঠে নামে ইসি, পুলিশ, দুদক।

এনআইডি জালিয়াতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ের এক অফিস সহায়ককে দুই সহযোগীসহ আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ইসির চুরি যাওয়া একটি পুরনো ল্যাপটপ জব্দ করে পুলিশে দেন কর্মকর্তারা।

এ ঘটনায় চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়। মামলাটির তদন্তে নেমে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ইসির ‘কিছু’ কর্মচারী-কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা পায়। এনআইডি জালিয়াতি ও দুর্নীতি বন্ধে ‘শুদ্ধি অভিযান’ এর ঘোষণা দেয় এনআইডি উইং।

দ্রুত দুটি তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রাথমিক তথ্যে সন্দেহভাজন ১৫ জনকে নজরদারিতে রাখার কথা জানান জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।

প্রায় ১১ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সমৃদ্ধ ইসির কেন্দ্রীয় তথ্য ভাণ্ডার ও মাঠ পর্যায়ের সার্ভার সুরক্ষায় নেওয়া হয় নানা উদ্যোগ।

জালিয়াতি চক্র ধরা পড়ার পর নির্বাচন কমিশনের দুটি আলাদা তদন্ত কমিটি এ নিয়ে মাঠে নামে। তাদের প্রতিবেদন ইতোমধ্যে কমিশনে জমা পড়েছে।

এই তদন্তে নির্বাচন কমিশনের স্থায়ী চারজন ও প্রকল্পের অধীনে কর্মরত সাত কর্মচারীসহ মোট ১৩ জনকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন।

রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকাভুক্তি ও জাতীয় পরিচয়পত্র জালায়াতি বন্ধে কারিগরি, প্রশাসনিক ও সমন্বিত তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনায় পরে আরও তিনটি কমিটি করে নির্বাচন কমিশন।

সবশেষে জালিয়াতি করে সোয়া কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে দুটি মামলা করা হয় ১৩ ডিসেম্বর।

এবারের ভোটার তালিকা হালনাগাদে রোহিঙ্গা সঙ্কট একটি চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, রোহিঙ্গারা যাতে ছলে-বলে বা কৌশলে ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা প্রয়োজন। রোহিঙ্গাদের ভোটার করার বিষয়ে যদি কোনো নির্বাচন কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র।

 

প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনলাইন নিবন্ধন ও স্মার্ট কার্ড

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয় ১০ বছর ধরে। কিন্তু নানা জটিলতায় তা সম্ভব হচ্ছিল না। সব জটিলতা পেরিয়ে অবশেষে ৫ নভেম্বর মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অনলাইন ভোটার নিবন্ধন সেবা চালু করা হয়।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ মালয়েশিয়া থেকে এই কার্যক্রমের সূচনা করেন। ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন থেকে তার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন সিইসি নূরুল হুদা।

অনলাইন ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম সেদিন জানান, পর্যায়ক্রমে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে অদূর ভবিষ্যতে স্মার্ট কার্ড রপ্তানির সুযোগও সৃষ্টি হবে।

এ ধারাবাহিকতায় ১৮ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকাভুক্ত করা ও স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার অনলাইন সেবা।

ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সিইসিসহ কমিশনের অন্য চার সদস্য (ফাইল ছবি)

 

দ্বন্দ্বে নিজেরাই

নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন হওয়ার পর সিইসি এবং ইসি সচিবের ‘একক কর্তৃত্ব’ নিয়ে এক দশক ধরে ‘বিতর্ক’ ছিল কমিশনে। কিছু বিষয়ে কমিশনারদের পাশ কাটিয়ে সিইসি ও সচিবের এ কর্তৃত্ব নিয়ে এবারও দ্বন্দ্বে জড়ান কমিশনের সদস্যরা। 

বছরের শেষ ভাগে এসে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির প্রায় সাড়ে তিনশ কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সচিবের বিরুদ্ধে ‘স্বেচ্ছ্বাচারিতার’ অভিযোগ তোলেন।

পাল্টা জবাবে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি নির্বাচন কমিশনারদের ‘অবগত করার বিষয় নয়’। যা হয়েছে তা হানড্রেড পার্সেন্ট আইনসম্মত। সংবিধান, আইন, বিধি ও নিয়মকানুন ফলো করে করা হয়েছে।”

এরপর ১১ ডিসেম্বর সিইসির উপস্থিতিতে কমিশন সভায় চার নির্বাচন কমিশনার লিখিত বক্তব্যে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন।

সেখানে একজন নির্বাচন কমিশনার ইসি সচিবালয়ের ‘স্বেচ্ছাচারিতা ও মিথ্যাচার’ বন্ধ না হলে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করা অসম্ভব বলেও মন্তব্য করেন।

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার (ফাইল ছবি)

 

ওই সভায় আরেক নির্বাচন কমিশনার প্রত্যাশা রাখেন, সিইসি সব নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বিদ্যমান আইন অনুসরণ করে কমিশনকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

সভার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর দাবি করেন, কমিশনে মতপার্থক্য থাকলেও কোনো বিভেদ নেই।

২০০৯ সালে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন কার্যকর হওয়ার পর আগের দুই মেয়াদের মোট দশ বছরে সচিবের সঙ্গে তাদেরও কর্তৃত্ব নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলেও তা কখনও প্রকাশ্যে আসেনি।

২০১৭ সালে যোগ দেওয়ার পর থেকে চার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সিইসির অন্তত দুইবার ভিন্নমত দেখা দেয়। বিষয়টি সমাধানে অফিস আদেশও জারি করা হয়।

এছাড়া নানা বিষয়ে কমিশন সভা বর্জন, আন-অফিসিয়াল নোট ও অধিকার খর্বের অভিযোগসহ আলোচনায় ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

নভেম্বরে ফের চার নির্বাচন কমিশনার ‘একাট্টা’ হয়ে সিইসি ও সচিবের ‘একক কৃতৃত্ব’ বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন এ নির্বাচন কমিশনার।

বছর শেষে ইসি সার্বিক কর্মকাণ্ড নিয়ে জাতি ‘বিব্রত’ বলে মন্তব্য করে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা টিআইবি।

নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপ, ইসির অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব, রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকাভূক্তি এনআইডি জালিয়াতি, সর্বোপরি ভোটের অনিয়ম নিয়ে নির্লিপ্ততা বিষয়গুলো তুলে ধরে টিআইবি বর্তমান কমিশনকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানায়।

নির্বাচন কমিশনের কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ইসি সচিব ও চার নির্বাচন কমিশনারের বিরোধ প্রকাশ্যে আনাকে সমর্থন করছেন না সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও আবু হাফিজ।

তারা বলেন, অভ্যন্তরীণ আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে সাংবিধানিক সংস্থাটি কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। কিন্তু হঠাৎ পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে মানুষের মধ্যেও কমিশন নিয়ে অনাস্থা বাড়বে। সেক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন সংশোধনের বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। সেই সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।