জোর করে কাউকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না বলে নয়া দিল্লির কাছে আশ্বাস পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার সিলেটে বিজিবির অভিযানে জব্দ মাদকদ্রব্য ধ্বংসের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ভারতের নাগরিকপঞ্জি ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ভারতের আসামে সম্প্রতি চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের পর বাদপড়াদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে; কেননা আসামের অনেক রাজনীতিকদের দাবি, এই বাদপড়ারা বাংলাদেশ থেকে গিয়েছিলেন।
এরপর ভারত সরকার নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে যারা ভারতে রয়েছেন, তাদের নাগরিক করে নেওয়ার বিধান রাখলেও তাতে বাদ রাখা হয়েছে মুসলমানদের।
এ নিয়ে ভারতজুড়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ-সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি বাংলাদেশেও অনেকের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এক্ষেত্রে সরকারের ‘নির্বিকার’ ভূমিকার সমালোচনাও করছে বিএনপি।
মোমেন বলেন, “এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।
“ভারতে কোনো অবৈধ বাংলাদেশি থাকলে ফেরত আনা হবে। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাদের বাংলাদেশে ফেরত আনা হবে।”
আসামের নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের পর ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে কিছু মানুষকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করার ঘটনাও ঘটেছে।
তবে মোমেন বলেন, “সেখানে থাকা কাউকেই বাংলাদেশে পুশইন করা হবে না বলে ইতোমধ্যে ভারত আমাদের আশ্বস্ত করেছে। ভারত বারবার বলেছে, কাউকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠানো হবে না।”
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল স্বীকার করেছিলেন যে ভারত থেকে পুশব্যাকের চেষ্টা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীরা তা প্রতিহত করছে।
বাংলাদেশে এরকম অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা কয়েকশ বলেও স্বীকার করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে মোমেন ভারতের কথায় আশ্বস্ত হয়ে বলেন, “আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক বেশ ভালো।”