স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার তথ্য অনুযায়ী, ১৬ ডিসেম্বর থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৭৭ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ হাজার ৫১৪ জন ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন ৭২০ জন; ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৪১ জন।
শীত শুরুর পর ১ নভেম্বর থেকে রোববার পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এক লাখ ৯১২ জন ভর্তি হয়েছেন। আর শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩৯ হাজার ৭৮৮ জন হাসপাতালে এসেছেন।
এ সময়ের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের রোগে ১৬ এবং ডায়রিয়ায় চারজন মারা গেছেন।
“শীতের কারণে শিশু ও বয়স্করা ঠাণ্ডা, সর্দিকাশি, অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। শুরুর দিকে আক্রান্তের সংখ্যা একটু বেশি ছিল, কিন্তু এখন সেটা কমে এসেছে। কারণ শুরুর দিকে মানিয়ে নিতে সমস্যা হলেও এখন অনেকে মানিয়ে নিয়েছে। যারা মারা গেছে, তাদের বেশিরভাগই নভেম্বরের দিকে।”
শীত থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় ব্যবহারের পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।
রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনের তীব্র শীত কিছুটা কমবে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পৌষ মাসে এমন আবহাওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়। আর ডিসেম্বরের শেষভাগে মাঝারি ধরনের আরেকটি শৈত্যপ্রবাহের আভাসও দিয়ে রেখেছেন তারা।