ফজলে হাসান আবেদ: মানুষের জন্য এক জীবন
নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 20 Dec 2019 11:53 PM BdST Updated: 21 Dec 2019 05:29 PM BdST
-
ব্র্যাকের উদ্যোগে পরিচালিত স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফজলে হাসান আবেদ।
-
সত্তরের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে যে কার্যক্রমের সূচনা ফজলে হাসান আবেদ করেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতপ্রত্যাগতদের সহায়তার পথ ধরে এখন তা রূপ নিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি সংস্থার কর্মযজ্ঞে।
দারিদ্র্য বিমোচনে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের নাইট উপাধিতে ভূষিত হন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা আবেদ।
কর্মগুণে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত এই বাংলাদেশি শুক্রবার রাতে ৮৩ বছর বয়সে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
ব্র্যাকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তার পথচলাকে ’পরিপূর্ণ জীবনের প্রতিকৃতি’ হিসাবে বর্ণনা করেছে ব্র্যাক।
ফজলে হাসান আবেদকে উদ্দেশ করে তার এক জন্মদিনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন বলেছিলেন, “বাংলাদেশ ও এর বাইরে লাখ লাখ মানুষকে নিজস্ব কাজের মাধ্যমে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি ও মর্যাদা পেতে আপনি সাহায্য করেছেন। উন্নয়ন সম্পর্কে আমরা যা ভাবি, আপনি সে কাজটিই করেছেন বৈপ্লবিকভাবে।”

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে ফজলে হাসান আবেদ; ছবি-ব্র্যাক

অর্থনীতিতে নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফজলে হাসান আবেদ; ছবি-ব্র্যাক
এর পরেও কাজে তৃপ্ত হতে পারেননি ফজলে হাসান আবেদ। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “বাংলাদেশে বাস করে কারও পক্ষে আত্মতৃপ্ত হওয়া সম্ভব নয়। মানুষের দুঃখ, কষ্ট, দারিদ্র্য দেখে আত্মতৃপ্ত হওয়া যায় না। মানুষ যে কত অসহায় হতে পারে আমি কাজ করতে গিয়ে তা দেখেছি। মাঝে মাঝে মনে হয়, এই মানুষগুলোর জন্য খুব বেশি কিছু করতে পারলাম কই?”

মাঠে কৃষকদের সঙ্গে ফজলে হাসান আবেদ।
১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল তৎকালীন সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন ফজলে হাসান আবেদ।
১৯৫২ সালে পাবনা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৫৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন তিনি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যায় অনার্সে ভর্তি হন। কিন্তু সেখানে না পড়ে তিনি ইংল্যান্ডে চলে যান।
তখন তার ছোট চাচা সায়ীদুল হাসান ছিলেন লন্ডনে পাকিস্তান দূতাবাসের বাণিজ্য সচিব। তিনি আবেদকে স্কটল্যান্ডে গিয়ে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেভাল আর্কিটেকচারে ভর্তি হতে বলেন।
১৯৫৪ সালে আবেদ স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেভাল আর্কিটেকচারে ভর্তি হন। কিন্তু দুই বছর লেখাপড়া করার পরে তিনি এ বিষয়ে পড়া বাদ দিয়ে লন্ডনে গিয়ে অ্যাকাউন্টিংয়ে ভর্তি হন।

তরুণ বয়সে ফজলে হাসান আবেদ
চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিংয়ে লেখাপড়া করার সময়েই ১৯৫৮ সালে তার মা সৈয়দা সুফিয়া খাতুন মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৬২ সালে ‘কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিং’-এর ওপর তিনি প্রফেশনাল কোর্স করেন ।
কর্মজীবনের শুরু
শিক্ষাজীবন শেষে ফজলে হাসান আবেদ ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত লন্ডন, কানাডা ও আমেরিকায় চাকরি করেন। এরপর ১৯৬৮ সালে দেশে ফিরে আসেন। তখন গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে সোচ্চার বাংলাদেশের মানুষ। প্রতিদিনই মিছিল মিটিং চলে। এক পর্যায়ে আন্দোলন জোরদার হয়ে ওঠে। শুরু হয় ঊনসত্তরের গণআন্দোলন।
১৯৭০ সালে আবেদ শেল অয়েল কোম্পানির চট্টগ্রাম অফিসে যোগ দেন। এরপর পদোন্নতি পেয়ে ফাইন্যান্স বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পান।
শেল অয়েল কোম্পানিতে কর্মরত থাকাকালে ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর উপকূলীয় দ্বীপাঞ্চলে স্মরণকালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। সন্দ্বীপ, হাতিয়া, মনপুরা এই তিনটি দ্বীপের লাখ লাখ মানুষ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রাণ হারান।

২০১৮ সালের ৭ জুন অবিন্তা কবির ফাউন্ডেশন স্কুলের প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ফজলে হাসান আবেদ।
এ সময় তিনি বন্ধুদের সঙ্গে মিলে ‘হেলপ’ নামের একটি সংগঠন গড়ে তুলে মনপুরা দ্বীপের বিপন্ন ও বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানে তারা ব্যাপক ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। স্বজন ও সর্বস্ব হারানো মানুষের কাছে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়ার পাশাপাশি বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি আবার দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন তারা।
যুদ্ধকালে ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ ও ‘হেলপ বাংলাদেশ’ গঠন
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে হাসান আবেদ শেল অয়েল কোম্পানির উচ্চপদের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ইসলামাবাদ ও কাবুল হয়ে লন্ডনে চলে যান।
১৯৭১ সালের মে মাসে লন্ডনে গিয়ে সমমনা বন্ধুদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য কাজ শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য গড়ে তোলেন ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ ও ‘হেলপ বাংলাদেশ’ নামে দুটো সংগঠন।

চীনা বহুজাতিক কোম্পানি আলিবাবা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান অ্যান্ট ফাইন্যান্সিয়ালের সঙ্গে বিকাশের চুক্তি উদযাপনে ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফজলে হাসান আবেদ।
‘হেলপ বাংলাদেশ’-এর কাজ ছিল অর্থ সংগ্রহ করে মুক্তিবাহিনীকে সহযোগিতা করা। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরি, প্রচারপত্র বিলি, টাইমস অব লন্ডনে লেখা ও বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা, রেডিও ও টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেওয়া, ইউরোপীয় দেশগুলোর পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে স্বদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিবিধ কর্মতৎপরতা পরিচালনা করা। পথনাটক, তহবিল সংগ্রহসহ নানা ধরনের কাজেও তিনি ও তার বন্ধুরা সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়েছিলেন।
মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের একজন বিল গেটসকে নিয়ে দরিদ্রের জীবনমানের উন্নয়নের প্রচেষ্টায় ফজলে হাসান আবেদ
ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠা
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে ফজলে হাসান আবেদ সদ্যস্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
আবেদ ভারতপ্রত্যাগত এক কোটি শরণার্থীর ত্রাণ ও পুনর্বাসনকল্পে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। মুক্তিযুদ্ধকালে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া সিলেটের সুনামগঞ্জের শাল্লা ও দিরাই অঞ্চলকে কর্মএলাকা হিসেবে বেছে নেন তিনি।
১৯৭২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন অ্যাসিসটেন্স কমিটি (ব্র্যাক) প্রতিষ্ঠা করেন ফজলে হাসান আবেদ।
ব্র্যাকে ৩৫ বছর
ফজলে হাসান আবেদ ১৯৭২ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ছিলেন ব্র্যাকের চেয়ারপারসনের দায়িত্বে। এই সময়কালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যাক ব্যাংক।

ব্র্যাককে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশেও নিয়ে গেছেন ফজলে হাসান আবেদ

ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর আড়ংয়ের ৪০ বছর পূর্তির উৎসব উদ্বোধনের পর বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন ফজলে হাসান আবেদ।
তার আগে গত ২৪ জুলাই ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন পদ থেকে অবসর নেন ফজলে হাসান আবেদ।এরপর ২৬ অগাস্ট ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারপারসন পদ থেকেও সরে যান।
যেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন
>> ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির হার্ভার্ড ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট-এর ভিজিটিং স্কলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
>> ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত অ্যাসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশ (এডাব)-এর চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
>> ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস)-এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সময় তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ফেলো হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
>> ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, জেনিভার এনজিও কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
>> ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সাউথ এশিয়া পার্টনারশিপ-এর চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
>> ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অন হেলথ রিসার্চ ফর ডেভেলপমেন্ট-এর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
>> ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত গণসাক্ষরতা অভিযান-এর চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কাজে ব্যস্ত ফজলে হাসান আবেদ; ছবি-ব্র্যাক
>> ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ইন্ডিপেনডেন্ট সাউথ এশিয়ান কমিশন অন পোভার্টি এলিভিয়েশন-এর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
>> ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সার্ক-এর সাউথ এশিয়ান কমিশন অন পোভার্টি এলিভিয়েশন-এর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
>> ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৪ এবং ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল মেয়াদে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
>> ১৯৯৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সদস্য তিনি।
>> ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের সাসেক্স ইউনিভার্সিটির পরিচালনা বোর্ডের সদস্য এবং ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (আইডিএস)- সদস্য।
>> ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি), ফিলিপিন্সের বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
>> ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি), ফিলিপিন্সের ফাইন্যান্স অ্যান্ড অডিট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

গ্রামের নারীদের কাছে ফজলে হাসান আবেদ, দরিদ্র মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের প্রচেষ্টাই তাকে এনে দিয়েছে বিশ্ব পরিচিতি
>> ২০০৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ইউএন কমিশন অন লিগ্যাল এমপাওয়ারমেন্ট অব দি পুওর (সিএলইপি)-এর কমিশনার তিনি।
>> ২০১০ সালে জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব বান কি মুন ফজলে হাসান আবেদকে বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ‘স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গে’র একজন হিসেবে সম্মানিত করেন।
>> অশোকা ফজলে হাসান আবেদকে ‘গ্লোবাল গ্রেট’ স্বীকৃতিতে ভূষিত করেছে। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের ‘গ্লোবাল অ্যাকাডেমি ফর সোশ্যাল অন্ট্রাপ্রেনিওরশিপ’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
>> ২০১০ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ইউএন সেক্রেটারি জেনারেলস গ্রুপ অব এমিনেন্ট পারসনস ফর লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রিজ-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
>> ২০১২ সাল থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ইউএন সেক্রেটারি জেনারেলস লিড গ্রুপ অব দি স্কেলিং এবং অশোকা গ্লোবাল অ্যাকাডেমি ফর সোশ্যাল অন্ট্রাপ্রেনিওরশিপ-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
২০১৬ সালের ১৭ মার্চ ঢাকার খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘আর্কিটেকচার নাউ/নেক্সট’ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফজলে হাসান আবেদ।
পুরস্কার ও সম্মাননা
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে কয়েক দশকের ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৯ সালে ফজলে হাসান আবেদ নেদারল্যান্ডসের নাইটহুড ‘অফিসার ইন দ্য অর্ডার অব অরেঞ্জ-নাসাউ’ খেতাবে ভূষিত হয়েছেন।
দারিদ্র্য বিমোচনে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের অন্যতম সর্বোচ্চ সম্মানজনক নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত হন তিনি।
২০১৯ সালে শিক্ষা উন্নয়ন বিষয়ে অত্যন্ত মর্যাদাসূচক এবং অর্থমূল্যের দিক থেকে সবচেয়ে বড় পুরস্কার ইদান প্রাইজ লাভ করেন ফজলে হাসান আবেদ। হংকংভিত্তিক ইদান প্রাইজ ফাউন্ডেশন এই পুরস্কার দেয়।
২০১৮ সালে প্রাকশৈশব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন ডেনমার্কের লেগো ফাউন্ডেশনের দেওয়া লেগো পুরস্কার।

এছাড়া তার হাতে উঠেছে পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) আজীবন সম্মাননা, গেটস অ্যাওয়ার্ড ফর গ্লোবাল হেলথ ও ইউএনডিপির মানব উন্নয়ন বিষয়ক পুরস্কার মাহবুবুল হক অ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের সেন্টার ফর পাবলিক লিডারশিপের গ্লেইটসম্যান ফাউন্ডেশন পুরস্কার, দ্য শোয়াব ফাউন্ডেশন সোশ্যাল অন্ট্রাপ্রেনিওরশিপ প্রতিষ্ঠান থেকে ‘আউটস্ট্যান্ডিং সোশ্যাল অন্ট্রাপ্রেনিওর’, সুইডেন থেকে ওলফ পামে অ্যাওয়ার্ড, ইউনেস্কো নোমা পুরস্কার এবং র্যামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড।

২০১৬ সালের ১৭ মার্চ ঢাকার খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘আর্কিটেকচার নাউ/নেক্সট’ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফজলে হাসান আবেদ।
কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার, যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি, জাপানের রিক্কিও ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্যের বাথ ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব দি সাউথ, যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ব্র্যাডফোর্ড থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন ফজলে হাসান আবেদ।
-
আনিসের আত্মহত্যা: হেনোলাক্স গ্রুপের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
-
বাড্ডায় কভার্ডভ্যান চাপায় দুজনের মৃত্যু
-
রাজধানীতে গ্যাসের আগুনে মা-ছেলে দগ্ধ
-
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পদ্মা সেতু দুই যুগেও হত না: তাজুল
-
সিলেটের বন্যার ক্ষতি নিজের জীবদ্দশায় পূরণ না হওয়ার শঙ্কা পরিকল্পনামন্ত্রীর
-
ঢাকায় কলেরার টিকা পেল ২৩ লাখের বেশি মানুষ
-
সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘র্যাগ ডে’ বন্ধের নির্দেশনা ইউজিসির
-
ই-অরেঞ্জের প্রতারণা: সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
-
গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা: হেনোলাক্স গ্রুপের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
-
বাড্ডায় কভার্ডভ্যান চাপায় দুজনের মৃত্যু
-
রাজধানীতে গ্যাসের আগুনে মা-ছেলে দগ্ধ
-
নিজের গায়ে আগুন দেওয়া গাজী আনিসকে বাঁচানো গেল না
-
বন্যায় বসতঘর পরিণত বীজতলায়, বছরের খোরাকি হাঁসের আধার
-
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পদ্মা সেতু দুই যুগেও হত না: তাজুল
সর্বাধিক পঠিত
- দিনে বিদ্যুৎ যাচ্ছে কয়েকবার
- নিজের গায়ে আগুন দেওয়া গাজী আনিসকে বাঁচানো গেল না
- বেয়ারস্টো-রুটের ব্যাটে রেকর্ড গড়ার পথে ইংল্যান্ড
- ফেইসবুকে ধর্ম নিয়ে মন্তব্য: স্কুল শিক্ষকের ৮ বছরের কারাদণ্ড
- চেলসি থেকে বার্সেলোনায় ক্রিস্টেনসেন
- লুহানস্কের পতনের পর এখন কোন পথে এগুবে রাশিয়া?
- বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছেই, এবার ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার
- হিলালীকে তুলে নিয়ে যা করেছিল অপহরণকারীরা
- মেডেন উইকেটের পর যে কারণে বোলিং পেলেন না মোসাদ্দেক
- ফ্রি ট্রান্সফারে বার্সেলোনায় কেসিয়ে