জয়নুল আবেদীনের বড়ভাই ইসমাইল মানিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সম্পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা হয়।
আইএসপিআরের সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান জানান, মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীনের প্রথম জানাজা সকাল ১০টায় ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম মকবুল হোসেন, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি, আনসারের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজী শরীফ কায়কোবাদ প্রমুখ জানাজায় অংশ নেন।
জানাজার পর বেলা ১২টায় জয়নুল আবেদীনের মরদেহ হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা ১৩ মিনিটে মারা যান মেজর জেনারেল (অব) মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন।
‘বীর বিক্রম’ উপাধি পাওয়া এই সেনা কর্মকর্তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। দীর্ঘদিন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সন্ধ্যায় তার সামরিক সচিব জয়নুল আবেদীনের মরদেহ দেখতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে যান ।
তিনি সেখানে মরহুমের পরিবারের সদস্যদের সাথে কিছু সময় কাটান এবং তাদেরকে সান্ত্বনা দেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান আজিজ আহমেদ সে সময় উপস্থিত ছিলেন।