সোমবার সকালে শেরেবাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড ময়দানে বর্ণাঢ্য এই কুচকাওয়াজে মুক্তিযোদ্ধা কন্টিনজেন্ট, সশস্ত্র বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন শাখা ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতির তথ্য জানানো হয় অতিথিদের।
সকাল সাড়ে ১০টায় রাষ্ট্রপতি প্যারেড স্কয়ারে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা তাকে স্বাগত জানান।
নীল রঙের স্যুট ও সাদা শার্ট পরিহিত রাষ্ট্রপতি খোলা জিপে চড়ে কুচাকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং পরে অভিবাদন মঞ্চে দাঁড়িয়ে সালাম গ্রহণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা অভিবাদন মঞ্চে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সচিব, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও বিভিন্ন মিশনের প্রধান এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অভিবাদন মঞ্চের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশাল প্রতিকৃতি রাখা হয়। তার দুই পাশে ছিল রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির দুই পাশে জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সাত বীরশ্রেষ্ঠর ছবি রাখা হয়।
সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক হাজার মানুষ দুই ঘণ্টাব্যাপী মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন প্যারেড ময়দান থেকে এ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করে।
কুচকাওয়াজে আর্মি, নেভাল এভিয়েশন ও র্যাব ফ্লাই পাস্ট করে রাষ্ট্রপতিকে সালাম জানায়। বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, নৌ ও বিমান বানিহীতে নতুন সংযোজিত বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জাম প্রদর্শিত হয়।
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সুসজ্জিত গাড়ি বহর কুচকাওয়াজে উন্নয়নের প্রদর্শন করেন।
এছাড়া বিমানবাহিনীর কে-৮ ডব্লিইউ, এফ-৭ বিজিওয়ান, ইয়াক ১৩০ ও মিগ-২৯বি যুদ্ধ বিমানের অ্যারোবেটিক ডিসপ্লে দর্শকদের মুগ্ধ করে।
সব শেষে লেফটেন্যান্ট কর্নেল বেনজীর আহমেদের নেতৃত্বে ৬০০ সদস্যের সম্মিলিত বাদক দল রাষ্ট্রপতিকে অভিবাদন জানায়।
আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল জাতীয় পতাকা, রাষ্ট্রপতির পতাকা ও বিভিন্ন বাহিনীর পতাকাসহ প্যারাশুট জাম্প। কুজকাওয়াজ শেষে বর্ণিল 'ডে ফায়ারওয়ার্কস' প্রদর্শিত হয়।
কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্যারেডে অংশ নেওয়া কন্টিনজেন্ট কমান্ডারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।