রোববার সচিবালয়ে নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী উপেন্দ্র যাদবের সঙ্গে এক বৈঠকরে পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের যে তদন্তকারী সংস্থা রয়েছে, তারা দেখবে যে কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, কার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আওতায় বিচার করা উচিত। তারা যদি তালিকায় থাকা রাজাকারদের বিষয়ে তদন্ত করে অপরাধের প্রমাণ পায়, নিশ্চয় তাদের বিচার হবে।”
সরকারের হাতে থাকা নথির তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে একাত্তরে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনীর বেতনভোগী ১০ হাজার ৭৮৯ জন স্বাধীনতাবিরোধীর প্রথম তালিকা বুধবার প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সকালে ওই তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, তালিকায় থানা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যদি কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ থেকে থাকে, তাহলে এই তালিকা প্রকাশের মধ্য দিয়ে তাদের বিচারের দ্বার উন্মোচিত হবে বলেই তার বিশ্বাস।
দীর্ঘদিন পর রাজাকারদের এই তালিকা প্রকাশের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “ইতিহাসে সবকিছু পরিষ্কার হওয়া ভালো। আমার মনে হয় নতুন প্রজন্ম এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের সত্য ইতিহাসটা জানা উচিত।… রাজাকারের তালিকা এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে একটা সুন্দর, শক্তিশালী ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে।”
নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আইন ও বিচারের অঙ্গনে দুই দেশের সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ও পরিবহন আরও সহজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করা নিয়েও নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে বলে জানান আনিসুল হক।