১ জানুয়ারি থেকে অবৈধ ডিটিএইচের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে বলে রোববার সচিবালয়ে বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি একথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে যে সমস্ত অবৈধ ডিটিএইচ আছে, সেগুলো সরিয়ে নিতে হবে। কারণ অবৈধ ডিটিএইচের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ৭০০ থেকে এক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এজন্য অবৈধ ডিটিএইচের বিরুদ্ধে আমরা ১৬ ডিসেম্বর থেকে অভিযান শুরু করব বলেছিলাম।
“কিন্তু আমাদের কাজের সুবিধার্থে, আগামীকাল যেহেতু বিজয় দিবস, আমাদের অন্যান্য কাজের সুবিধার্থে আমরা সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করছি। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে আমরা অভিযানে নামব।”
অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ ডিটিএইচ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি সংযোগদাতা ও সংযোগগ্রহিতার বিরুদ্ধেও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে হাছান মাহমুদ জানান।
অবৈধ ডিটিএইচ (ডিরেক্ট টু হোম) ব্যবহার করলে লাখ টাকা জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়া হবে বলে গত অক্টোবরে সতর্ক করেন তথ্যমন্ত্রী।
বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে তিনি বলেন,“প্রতি বছরের মতো এবার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে সাংবাদিক ও কলামিস্টদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ২০টি দেশ থেকে ৩৬ জন সাংবাদিক এখানে এসেছেন। তারা আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন।”
বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীরা সুন্দরবন, টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার, ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর ও বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান এবং প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজয় দিবসের প্যারেড পরিদর্শনে যাবেন।
তথ্য সচিব আবদুল মালেকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।