রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কামরুজ্জামান লেবুর বিরুদ্ধে মৃত বয়স্ক ভাতাভোগীদের অর্থ উত্তোলনের মাধ্যমে আত্মসাতের বিষয়টি ‘স্থানীয়ভাবে প্রমাণিত হয়েছে’।
“অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং তার অপরাধমূলক কার্যক্রম জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী ঘোগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লেবুকে তার পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।”
গত মে মাসে ঘোগা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য লুৎফুর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগে মৃত ব্যক্তিদের নামে বয়স্ক ভাতার টাকা তুলে নেওয়ার বিষয়টি জানান।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইউএনওর গঠিত তদন্ত কমিটি ঘোগা ইউনিয়নের ৪৭ জন মৃত ব্যক্তির নামে বয়স্ক ভাতা তোলার সত্যতা পাওয়া যায়। দেখা যায়, ২০১৩ সালে মারা যাওয়া ব্যক্তির নামে এ বছর মার্চ মাসেও ভাতা তোলা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এই জালিয়াতি হয়েছে জানিয়ে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিলে জুন মাসে সেই ৪৭ জনের নামে থাকা বয়স্ক ভাতার কার্ড স্থগিত করা হয়।