কেরানীগঞ্জে দগ্ধ আরও ৫ জনের মৃত্যু

ঢাকার কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরির কারখানায় আগুনে দগ্ধ আরও পাঁচ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকও কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Dec 2019, 07:51 AM
Updated : 15 Dec 2019, 02:26 PM

চার দিন আগে প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনায় এ নিয়ে মোট ১৯ জনের মৃত্যু হল।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানান, শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে থাকা মোস্তাকিন (২২), আব্দুর রাজ্জাক (৪০) ও আবু সাঈদ (২৯) রোববার সকালে মারা যান।

একই হাসপাতালে আইসিইউতে থাকা সুমন (২২) মারা যান বিকালে। আর দুর্জয় (২০) মারা যান কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ার তাদের বাসায়।

ঢাকা কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় বুধবার একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লাগে।

সামন্ত লাল বলেন, চিকিৎসকদের নিষেধ না শুনে ৯৫ শতাংশ দগ্ধ দুর্জয়কে দুদিন আগে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। বিকালে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় একতলা ওই টিনশেড কারখানায় গত ১১ ডিসেম্বর বিকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেদিনই কারখানার ধ্বংসস্তূপ থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করেন। বাকিরা পরে হাসপাতালে মারা যান।

সামন্ত লাল সেন জানান, কেরানীগঞ্জে দগ্ধ আরও ১৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে আটজন আছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের এইচডিইউতে।

আর সোহাগ (১৯), মফিজ (৪৫), সিরাজুল (১৯), সোহাগ (২৫) ও ফিরোজকে (৩৯) শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে ১৩ জনের মৃতদেহ শুক্র ও শনিবার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে ঢাকার জেলা প্রশাসন। বাকিদের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।

কেরানীগঞ্জের প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় আগুনে পুড়ে যাওয়া মেশিনারি। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

কেরানীগঞ্জের ওই কারখানায় ওয়ান টাইম প্লেট, কাপসহ প্লাস্টিকের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করা হত। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারখানা মালিক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত একজনের ভাই।
কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (ঢাকা) আহমেদ বেলাল জানিয়েছেন, প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ওই কারখানাটি ছিল অবৈধ।
“নব্বই দিনের মধ্যে কারখানার প্রবেশপথের সংখ্যা বাড়ানোর শর্তে তারা ফায়ার সার্ভিসের অনুমতি নিয়েছিল, কিন্তু মালিকপক্ষ তা করেনি। ওই কারখানায় ঢোকা ও বের হওয়ার একটি মাত্র পথ।”
এ বছর কারখানাটি পরিদর্শনের পর গত ৫ নভেম্বর মালিকের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করে মামলাও হয়েছিল বলে জানান তিনি।