জনসনকে অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনার আমন্ত্রণ

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির জয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2019, 02:51 PM
Updated : 14 Dec 2019, 03:07 PM

একইসঙ্গে আগামী বছর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে হাউজ অব কমন্সের ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৩৬৫টি জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বরিসের কনজারভেটিভ পার্টি। এই জয়কে দলটির নেতৃত্বের প্রতি যুক্তরাজ্যের জনগণের আস্থার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

বরিস জনসন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরে এসে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ঘুরে যান। তার ওই সফরের কথা স্মরণ করে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্যের প্রভাব ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় রোহিঙ্গাদের ওপর নিষ্ঠুরতার জন্য মিয়ানমারের জবাবদিহি এবং রোহিঙ্গাদের অধিকার, মর্যাদা, নিরাপত্তা ও স্থায়ীভাবে স্বভূমিতে ফেরত যাওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছেন শেখ হাসিনা।

“রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপের দিকে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ,” অভিনন্দন বার্তায় লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী।

গণতন্ত্রের অভিন্ন মূল্যবোধ ও সহিষ্ণুতা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা, সন্ত্রাস ও চরমপন্থা দমনের মতো বিষয়গুলোতে একই অবস্থান এবং জনগণের আরও সমৃদ্ধির অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মতো বিষয়গুলোতে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বমূলক কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের বহুমাত্রিক সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়টির পাশাপাশি এর ঐতিহাসিক দিকটিও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন।

রাষ্ট্রপরিচালনায় বরিস জনসনের প্রতি এই জনরায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশিসহ উভয় দেশের জনগণের স্বার্থরক্ষা করে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।