দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক ৩ দিনের রিমান্ডে

যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ লেখায় রাষ্ট্রদ্রোহ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদকে তিন দি‌নের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2019, 12:22 PM
Updated : 14 Dec 2019, 12:22 PM

ঢাকার মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ শনিবার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার আবুল আসাদকে এদিন আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) গোলাম আযম।

অন্যদিকে আসামির আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, “আবুল আসাদ প্রবীণ সাংবাদিক, তিনি অসুস্থ। তাকে জিজ্ঞেস করতে রিমান্ডে নেওয়ার দরকার নেই। প্রয়োজনে তাকে কারাফটকে জিজ্ঞেস করা যেতে পারে।”

শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে আবুল আসাদকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক ফরিদ মিয়া জানান।

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ফাঁসি কার্যকর করা হয় ‘মিরপুরের কসাই’খ্যাত কাদের মোল্লার। সেই দিনের স্মরণে বৃহস্পতিবার জামায়াতে ইসলামীর মুখপত্র হিসেবে পরিচিত দৈনিক সংগ্রামের প্রথম পাতায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যার শিরোনাম ছিল ‘শহীদ আবদুল কাদের মোল্লার ৬ষ্ঠ শাহাদাত বার্ষিকী আজ’’।

এর প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সংগ্রাম পত্রিকার কয়েকটি কপি পোড়ান ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। বিকালে দৈনিক সংগ্রামের কার্যালয় ঘেরাও ও ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধরা।

দৈনিক সংগ্রামের কার্যালয়টি জামায়াত-শিবিরের অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে অভিযোগ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পত্রিকাটির ‘ডিক্লারেশন’ বাতিলের দাবি জানানো হয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে।

ওই ঘটনার পর সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদকে রাতেই হাতিরঝিল থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আফজাল ওই থানায় মামলা দায়ের করেন।

দণ্ডবিধির রাষ্ট্রদ্রোহের ধারা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা এ মামলায় সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ ছাড়াও প্রধান প্রতিবেদক বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, এবং বার্তা সম্পাদক সাদাত হোসেনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে এজাহারে।