বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আদালতের ফটকে প্রবেশের সময় সবার পরিচয়পত্র দেখা হচ্ছে। প্রবেশপথে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার এসএম শামীম বলেন, “নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তল্লাশি করা হচ্ছে। তল্লাশির নামে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।”
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে শুনানির জন্য খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের বিষয়টি রাখা হয়েছে কার্যতালিকার ১২ নম্বর ক্রমিকে।
আপিল বিভাগের তালিকাভুক্ত না হলে আইনজীবীদের কাউকে আদালত কক্ষে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে নিরাপত্তায় থাকায় কর্মীরা সবার কার্ড দেখছেন।
এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন আবেদনের বিষয়ে আদালতের আদেশ হবে।
জিয়া এতিমখানা ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দণ্ড মাথায় নিয়ে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গত এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চে এই আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা প্রতিবেদন দিতে না পারায় এজলাসে তুমুল হট্টগোলের মধ্যে তাদের আরও ছয় দিন সময় দিয়ে ১২ ডিসেম্বর আদেশ দেওয়ার দিন ঠিক করে আদালত।
সেদিনের হট্টগোলের পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির আদালত কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। বুধবার প্রধান বিচারপতির আদালত কক্ষে গিয়ে আটটি সিসি ক্যামেরা দেখা গেছে।